১৯ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৪:১০:২৬ অপরাহ্ন
হাসপাতালেই স্বামীকে পেটালেন স্ত্রী, ভিডিও ভাইরাল
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৮-২০২৫
হাসপাতালেই স্বামীকে পেটালেন স্ত্রী, ভিডিও ভাইরাল

হাসপাতালে প্রকাশ্যেই স্বামীকে মারছেন স্ত্রী। হাত থেকে ফোন কেড়ে নিচ্ছেন। অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দিচ্ছেন। এমন এক ভিডিও রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।


রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটে এই চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। উপস্থিত লোকজন দৃশ্যটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। 

ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে। ভাইরাল হওয়া ৩৬ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণী সাদা শার্ট পরা এক যুবকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চেষ্টা করছেন।


ফোনটি হাতে নিয়েই তিনি উত্তেজিত হয়ে অপশব্দ ব্যবহার করেন এবং যুবকের পিঠে কিল-ঘুষি মারেন। এরপর মাথার চুল টেনে ধরে লাথিও দেন। ভিডিওতে ওই তরুণীকে একাধিকবার বলতে শোনা যায়- “এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক।”


 

জানা গেছে, মারধরের শিকার যুবকের নাম ফারুক হোসেন।


তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অপরদিকে, ওই তরুণী হলেন বিথি আক্তার ওরফে মিষ্টি। তার বাড়ি কালুখালী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামে। বর্তমানে তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরি করছেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে স্বামী ফারুক হোসেন বলেন, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরির সময় বিথি আক্তারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

পরে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় বিথি তার বিরুদ্ধে রাজবাড়ী আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় জামিন পাওয়ার পর তিনি আরো চারটি মামলা দায়ের করেন। এরপর বিথি শর্ত দেন, বিয়ে করলে মামলা তুলে নেবেন। ফারুক বিয়ে করলেও তিনি মামলা প্রত্যাহার করেননি, বরং নানা উপায়ে হয়রানি শুরু করেন।

অন্যদিকে বিথি আক্তারের দাবি, ফারুক তার স্বামী হলেও দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ রাখেননি। বরং তিনি ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করছেন।


 

ঘটনার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক এনামুল হক রোগী দেখছিলেন। তিনি বলেন, ‘দুপুর সোয়া একটা নাগাদ বাইরে হৈচৈ শুনে বের হয়ে দেখি, ফারুক ও এক তরুণী তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি করছেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ফারুককে একাধিকবার আঘাত করেন। পরে জানতে পারি তারা স্বামী-স্ত্রী। সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। আমি তাদের হাসপাতালে ঝগড়া না করে বাড়িতে গিয়ে সমাধান করার পরামর্শ দিই।’


ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে বাইরে থাকায় আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি ফিরে এলে করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


শেয়ার করুন