১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন
চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রামু চৌমুহনী স্টেশন : দুদকের তদন্ত দাবি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৯-২০২২
চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রামু চৌমুহনী স্টেশন : দুদকের তদন্ত দাবি

ইয়াবা কারবারি ও ইয়াবা ছিনতাইয়ের পাশাপাশি রামু চৌমুহনী স্টেশনে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে একদল চিহ্নিত চাঁদাবাজ চক্র। অভিযোগ উঠেছে এসব চাঁদাবাজিতে ইয়াবা গড়ফাদার ও সংবাদকর্মীসহ আরো অনেকে জড়িত রয়েছে। 

জানা যায়, ফুটপাতে ভাসমান দোকানের অগ্রিম সালামি ও মাসিক ভাড়া আদায়, টমটম অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে মাসে মাসে চাঁদা আদায় করছে। এভাবেই হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। 
তদন্তকারী সংস্থার অভিযান জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

স্থানীয় যুবলীগের একজন নেতা জানায়, ইয়াবা ছিনতাই ও স্টেশনে চাঁদাবাজির মাধ্যমে একজন লাইসম্যান শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছে। অবৈধ উপার্জনে বাড়ি,গাড়ি, সম্পত্তির ক্রয় করেছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। তাদের দুয়েকবছর আগের ও বর্তমান সম্পদ হিসেব করলে সকল অপকর্ম বেরিয়ে আসবে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক রামু চৌমুহনী ষ্টেশনের কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, চিহ্নিত চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে চৌমুহনী স্টেশন। হুমকি দুমকি ও প্রভাব বিস্তারের কারণে স্বাভাবিক ভাবে তারা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। প্রশাসনকে জানালে প্রাননাশের হুমকিতে কাউকে জানাতে পারছেনা বলেও দাবি করেন।  এসব চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

এ বিষয়ে প্রশাসন জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে প্রশাসন থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসব চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব‍্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় সাংসদ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয় কক্সবাজার পুলিশ সুপার মহোদয়, র‍্যাব -৭ ও র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক মহোদয়, দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও উপজেলাহ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও রামু থানার ওসির  দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রামুর ভুক্তভোগী জনগণ।

এ বিষয় ভুক্তভোগী জনসাধারণেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।

শেয়ার করুন