গত সপ্তাহে ইরানে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় মাসা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর।
হিজাব না পরায় মাসা আমিনিকে গ্রেফতার করা হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন দিন কোমায় থাকার পর তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ ওঠেছে, পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনিকে নির্যাতন করা হয়েছে। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে মাসা আমিনির জন্মস্থান কুর্দিস্থানসহ ইরানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে।
এর মাঝেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে তেহরানের পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
এ ব্যাপারে তেহরান পুলিশের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেন রাহিমি বলেছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে ‘কাপুরুষঘোচিত’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাকে কোনো শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা বিচার দিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করব। কিন্তু এতদিন তো আমরা বসে থাকতে পারব না।
এদিকে আমিনি হলেন একজন জাতিগত কুর্দি তরুণী। সে তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানী তেহরানে বেড়াতে এসেছিল। সেখানে সিটি সেন্টার থেকে ‘নৈতিকতা পুলিশ’ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের অভিযোগ ছিল- আমিনি মাথায় স্কার্ফ দেননি, যেটি ইরানি নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক। তাছাড়া ঢিলেঢালা পোশাকও ছিল না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পুলিশ আমিনিকে ধরে নিয়ে ভ্যানে তুলে নিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালায়।