ম্যাচের আগে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছিলেন, ‘জেতার জন্যই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা।’
কথার প্রমাণ মাঠেই দিলেন তারা। উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডকে পাত্তাই দিল না বাঘিনীরা।
৫০ বল বাকি থাকতে ১ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এ জয়ের দিনেও আক্ষেপে পুড়তে পারেন টাইগ্রেস ওপেনার শামিমা সুলতানা। মাত্র ১ রানের জন্য ক্যারিয়ারের ৩য় হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। পুথাওয়াংয়ের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০ বাউন্ডারিতে ৩০ বলে ৪৯ রান করেন শামিমা।
শামিমার সাজঘরে ফেরার পর আর কোনো বিপদ ঘটেনি বাংলাদেশের। আরেক ওপেনার ফারজানা হককে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ২৯ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফারজানা। অপরপ্রান্তে ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন নিগার।
এর আগে রোমানা-নাহিদাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৮২ রানেই গুটিয়ে যায় থাইল্যান্ড। আর সেই মামুলী লক্ষ্য ১১.৪ ওভারেই পার করে দেয় বাংলাদেশ।
সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
টসে হেরে ফিল্ডিং পায় নিগার সুলতানার দল।
আর জাহানারা-রোমানাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি থাইল্যান্ড। ২ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৮২ রানে থামে থাইল্যান্ডের ইনিংস।
সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে টপঅর্ডার ব্যাটার পানিথা মায়ার ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ২০ রানে করেছেন ওপেনার নাথাকা চানথাম। এরপর আরও দুজন ছাড়া বাকিদের কেউ দুই অংকের ঘরেই পৌঁছুতে পারেননি।
বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন বাংলাদেশের রোমানা আহমেদ। ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদা, সানজিদা ও সোহেলি। সালামা খাতুন একটি উইকেট পেয়েছেন।