নোয়াখালীর সেনবাগের আলোচিত মডেল কৃষক সাহাব উল্লাহ দুই বছর ধরে শয্যাশায়ী। অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ছয় সন্তানের এই জনক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতার আবেদন করে তা পাওয়ার আশায় দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছেন তিনি।
জানা গেছে, সাহাব উল্লাহ উপজেলার নজরপুর গ্রামের একজন কর্মসৃজনশীল কৃষক ছিলেন। জীবন ও জীবিকার তাগিদে শতভাগ জড়িয়ে যান কৃষিকাজে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন উপজেলার কৃষকদের সমস্যা সামাধানের ভরসার কেন্দবিন্দু। বীজ উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহে খেতাব হিসেবে উপজেলার মডেল কৃষকের খ্যাতিও পান তিনি। উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের সাহাপুরে ৫০ একর জমি বর্গা নিয়ে সয়াবিন ও আংশিক মুগডাল, নিজ বাড়িতে ভার্মী কম্পোস্ট জৈব সার উৎপাদন, গুটি ইউরিয়া মেশিন, ধান নেওয়া মেশিন, বায়োগ্যাস উৎপাদন বিভিন্ন জাতের শাকসবজির চাষ করতেন।
সেই সময়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে আশার আলো জাগিয়ে তুলে কৃষি দপ্তরসহ সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। তার উৎপাদন একনজর দেখতে আসেন তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী। তার এই কৃষিবান্ধব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ টেলিভিশনে শাইখ সিরাজ তৎকালীন সময়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করে।
২০১৫ সালের বন্যায় সয়াবিন ও মুগডাল তলিয়ে যায় কম্পোস্ট জৈব, গুটি ইউরিয়া মেশিন, ধান নেওয়া মেশিন, বায়োগ্যাস উৎপাদনে নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে প্রায় ২৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয় বলে জানান। যার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সেনবাগ শাখা থেকে সিসি লোন ৯ লাখ টাকা।
আরও জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে গেছেন এ মানুষটি। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সিসি ঋণ মওকুফ সুচিকিৎসার জন্য ২০২০ সালের ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করে আবেদন করেন কৃষক সাহাব উল্লাহ। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছরের এই আবেদনের কোনো সাড়া না পাওয়ায় হতাশ তিনি ও তার পরিবার। সুচিকিৎসা ও তার পরিবারে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর ও কৃষি দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেন।