১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:৪৩:২৩ অপরাহ্ন
নাম গোপন করে পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি আরজুর বিয়ে, বাবার পরিচয়ের দাবিতে আদালতে অসহায় মেয়ে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১১-২০২২
নাম গোপন করে পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি আরজুর বিয়ে, বাবার পরিচয়ের দাবিতে আদালতে অসহায় মেয়ে

এস,এম জহুরুল হক : নাম গোপন করে বিয়ে, দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানের  পরিচয়ের দাবিতে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেছেন দ্বিতীয়  স্ত্রী দাবি করা শাহানা পারভীন ইভা (৪৯),মামলা নং পিটিশন মামলা ৪২/২০২২,ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী -২০০৩) এর ৯ (১).

মামলার  এজাহার সুত্রে জানাযায়,  বাদী শাহানা পারভীন ইভাকে, গত ১০-১২-২০০৩ তারিখে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু (ফারুক নামে পরিচয় দিয়ে) ৫,০০,০০০ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে। বিয়ের পরে  সাবেক এমপি আরজু ও শাহানা দম্পতি মগবাজারস্থ ভাড়া বাসায় ও পরবর্তীতে মোহম্মদপুরস্থ মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটিতে ভাড়া বাসায় সাংসারিক জীবন যাপন করে । বিয়ের ৫ বছরের মাথায় ২০০৮ সালের ১৬ ই জানুয়ারি শাহানা পারভীনের কোল আলোকীত করে জন্ম গ্রহণ করে কন্যা সন্তান হৃদিতা তাহসিন ( বর্তমান বয়স -১৪)। শাহানা পারভীন জানান,সন্তান পেটে আসার পর থেকে খন্দকার আজিজুল হক আরজু বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপাচাপি করে। চাপাচাপি অগাহ্য করে সন্তান রেখে দেওয়ায় সে আমাকে ও আমার মেয়ে কে অস্বীকার করে। এর পুর্বে সংসার চলাকালীন সময় সে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার কথা বলে আমার বাবার কাছ থেকে ১০ লক্ষ, আমার একাউন্টে থাকা ৮ লক্ষ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয় কিন্তু কোন ফ্ল্যাট কিনে দেয়নি। পরবর্তীতে আমি আমার মেয়ের স্বীকৃতি চাইলে সে কুতুবউদ্দিন ওরফে শাওন,কুদ্দুস ও মাহবুব সহ  বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার হুমকি প্রদান ও হত্যার চেষ্টা করলে আমি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রাণে বেঁচে যাই। হত্যা করতে ব্যার্থ হয়ে সে আমাকে নারী পাচারকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে। আমি CID, DB ও আদাবর থানায় একাধিক বার জানিয়ে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছি।

আদালত অভিযোগ টি আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। পরবংর্তীতে খন্দকার আজিজুল হক আরজু রীট পিটিশন করলে আলদালত ৩১-০৭-২০২২ তারিখে রীট পিটিশন খারিজ করে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০-১১-২০২২ তারিখে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নিজের নমুনা প্রদান করেন পাবনা -০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু।

বিষয়ে পাবনা -০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, আমি সম্পুর্ণ নির্দোষ, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার বিষয়টি সত্য স্বীকার করে তিনি বলেন আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছি কারন আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে সব সত্য প্রকাশ পাবে বলে জানান তিনি।

এলাকাবাসী ও রাজনৈতীক নেতারা জানান, একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার থেকে খন্দকার আজিজুল হক আরজুর রাজনীতির মাঠে বসন্তের কোকিলের মতো আভির্ভাব হয়েছিলো বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। অভিযোগ উঠেছিল সে নির্বাচনে ভোট কারচুপির মাধ্যমে খন্দকার আজিজুল হক আরজু তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আফজাল কে হারিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী আফজাল হোসেন। মামলায় একাধিকবার নিজের পক্ষে রায় পেয়েও আরজুর অদৃশ্য ইশারায় হেরে যায় আফজাল হোসেন। 

তারা আরো জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সুযোগ সন্ধানী আজিজুল হক আরজু জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত নির্বাচন বর্জন করে পাবনা-২ আসনে কোনো প্রার্থী না দিলে আ.লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন রাজনৈতিক  অঙ্গনে আলোচিত সমালোচিত খন্দকার আজিজুল হক আরজু।শুরু হয় হয় নতুন করে পথচলা। বেড়া-সুজানগরের রাজনীতিতে শুরু হয় গ্রুপিং। সে সময়ে চলে আসে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সে নির্বাচনে ঢালার চর ইউপিতে আ.লীগের দলীয় প্রার্থী কোরবান আলী বিশ্বাসকে সমর্থন না করে বিদ্রোহী প্রার্থী নাসির উদ্দিন ব্যপারির পক্ষে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন একাধিকবার চিঠি দিয়ে সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে নিজ নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন।

বিস্তারিত আসছে----

শেয়ার করুন