১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৬:১৬:০৯ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১২-২০২২
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ

সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত, বিএনপির অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। শনিবার বিকেলে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় তারা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, তারা রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও নাশকতার রাজনীতি বেছে নিয়েছে। তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, জানমালের ক্ষতিসাধন করে, আন্দোলনের নামে যানবহনে অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে এটাই তাদের রাজনীতি।

তিনি বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আপনাদের এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথেই রুখে দিবো। আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র সাথে খেলা হবে, সেই খেলায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে খেলা সমাপ্ত করবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের রাজনীতি রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন আমাদের এই দেশ। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথেই রুখে দিবো।

ডাবলু সরকার বলেন, বিএনপির নেতারা বলেছিলো ১০ তারিখের সমাবেশের পর নাকি খালেদা জিয়া দেশ চালাবে! তাদের সমাবেশকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে, আজকের সমাবেশ করে তারা সফল হতে পারে নি, আমরা রাজশাহীতেও তাদের সমাবেশ দেখেছি, তারা সেই সমাবেশেও ব্যর্থ হয়েছে। প্রবাদে আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না, তারা শুধু কথাতেই চলছে, রাজপথে নয়। জনগণ আজ তাদের সমাবেশকে প্রত্যাখান করেছে, জনগণ এখন তাদের পক্ষে নাই, জনগণ এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে।

তিনি আরো বলেন, অতীতে বিএনপির নেতারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে, দেশের নিরীহ সাধারণ মানুষদেরকে তারা আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে ও দেশের সম্পদের ক্ষতি করেছে। আজ তাদের উপর সাধারণ মানুষের অভিশাপ রয়েছে। আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে, সে আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহন থাকে না, সফলতার মুখ দেখা যায় না। বিএনপির নেতারা বলছে রাজপথ নাকি তাদের দখলে! আমি তাদেরকে বলতে চাই, আসুন, দেখে যান রাজপথ আমাদের দখলে, রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি প্রতিনিয়ত সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সরকারের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য তারা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের এই ষড়যন্ত্র কোনদিনও বাস্তবায়ন হবে না, আপনারা সফল হবেন না। এই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাঁর স্বপ্নের এই সোনার বাংলাদেশকে উন্নত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে সমুচিত জবাব দিতে হলে আমাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত সকল কর্মসূচীতে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা বিএনপি’র দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মোকাবিলা করবো।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম।

এছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, মাসুদ আহমদ, কে এম জুয়েল জামান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ইপফাৎ আরা কামাল, মালিহা জামান মালা, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।

শেয়ার করুন