ভোলার মেঘনা নদীতে সাড়ে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে ডুবে যাওয়া পরিবহণ ট্যাংকার জাহাজ উদ্ধারে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
তেলের মালিকানাধীন কোম্পানির পক্ষ থেকে জাহাজ উদ্ধারের জন্য কোনো আবেদন না পাওয়ায় আপাতত ট্যাংকার থেকে যাতে তেল ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, ওই ট্যাংকার থেকে নদীতে ভেসে যাওয়া তেল উদ্ধার করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। রাতে ওই নদীতে লালবাতি জ্বালিয়ে ওই রুটের সব নৌযানকে সতর্ক করা হয়। সোমবার সকালে ওই এলাকায় বয়া স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ওই রুট দিয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা রুটে শতাধিক পণ্যবাহী জাহাজ যাতায়াত করে। নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেল থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্যই এসব সতর্কতা অবলম্বন করা।
রোববার ভোররাতে চট্টগ্রাম থেকে সাগর নন্দিনী-২ নামের ওই জ্বালানি তেল পরিবহণকারী জাহাজটি ভোলার মাঝেরচর এলাকা অতিক্রমের সময় ঘন কুয়াশার কারণে অপর একটি পণ্যবাহী জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে সাগর নন্দিনীর অর্ধেকাংশ ডুবে যায়। ছয়টি তেলের ট্যাংকের মধ্যে চারটি পানিতে তলিয়ে আছে।
এর মধ্যে ছিল দুই লাখ ৩৪ হাজার লিটার অকটেন ও আট লাখ ৯৮ হাজার লিটার ডিজেল ছিল। পদ্মা ওয়েল কোম্পানির এই তেল পরিবহণ করছিল শেখ হাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন সাগর নন্দিনী-২ ট্যাংকারটি।
কোস্টগার্ড প্রকৌশল বিভাগ জানায়, সোমবার সকাল পর্যন্ত কোস্টগার্ড টিম লুমার সিস্টেমে নদী থেকে তেল পৃথক করার কাজ করে এ পর্যন্ত ৭ হাজার লিটার পানিযুক্ত জেল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া নদীতে কয়েকশ জেলে স্থানীয় পদ্ধতিতে নদী থেকে ভাসমান তেল ছেঁকে তুলছেন।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে তিন যুগ্ম পরিচালক সমন্বিত একটি টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। ওই টিম জানায়, ট্যাংকার জাহাজটি তোলার জন্য এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তেলের মালিকানাধীন পদ্মা ওয়েল কোম্পানির পক্ষ থেকে জাহাজ উদ্ধারের জন্য কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পরিজন ট্যাংকারের মালিকপক্ষেরও আবেদন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ট্যাংকার থেকে যাতে তেল ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এখন কেবল ওই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে লিকেজ তেমন হচ্ছে না। তবে সব কিছু দেখভাল করার জন্য কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও ভোলা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।