গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশ সফর করেছেন তিনি।
ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রদেশটি পরিদর্শন করলেন তুর্কি নেতা। এদিন তার সঙ্গে ছিলেন ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টির (এমএইচপি) নেতা দেভলেত বাহচেলি এবং গ্রেট ইউনিয়ন পার্টির (বিবিপি) নেতা মুস্তাফা দেস্তিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফরের শুরুতেই কাহরামানমারাস প্রদেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এলবিস্তান জেলা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় স্থানীয়দের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বাস না করার পরামর্শ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, কাহরামানমারাস প্রদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ২০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ভিকটিমকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৪ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য আমরা ৭৭ হাজার তাঁবু এবং ২৪ হাজার হাউজিং ইউনিটের ব্যবস্থা করেছি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কাহরামানমারাস প্রদেশে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৯ হাজার বসতি স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৮৩ হাজার এবং গ্রামাঞ্চলে ১৮ হাজার বসতি নির্মাণ করা হবে।
ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের উদ্দেশে এরদোগান বলেন, ‘আমি চাই, আপনারা মাত্র একটা বছর অপেক্ষা করুন।। আমরা তো মৃতদের ফেরাতে পারব না। তবে আমাদের যে ক্ষত (ক্ষতি) তৈরি হয়েছে, তা সারানোর মতো যথেষ্ট সামর্থ্য আমাদের আছে।’