ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ চলছে বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে হেরেছেন টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। দলের প্রধান চালিকাশক্তি সাকিব আল হাসান বৃহস্পতিবার রাতে এক ফ্যাশন হাউসের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
কে তাকে অনুমতি দিল? তিনি কার অনুমতি নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে গেছেন? এবং আদৌ কোনো অনুমতি নিয়েছেন কিনা? তা জানানোরও কেউ নেই।
তবে এটুকু জানা গেছে, যদিও উপলক্ষ্যে টিম বাংলাদেশ এবং তামিম বাহিনীকে উৎসাহ জোগাতে অনুপ্রাণিত করতেই হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় দলের টিম হোটেলে গিয়েছিলেন বিসিবিপ্রধান নাজমুল হসান পাপন। এবং তার নিজের মুখের স্বীকারোক্তি, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দেখা করতে এবং কথা বলতেই আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে বাংলাদেশের টিম হোটেল সোনারগাঁও প্যানপ্যাসিফিকে গিয়েছিলেন পাপন। যেহেতু মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচের আগের রাতে সাকিব টিম হোটেলে ছিলেন না, অপো মোবাইলের এক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন, তাই দেখা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে বোর্ড সভাপতিকে টিম হোটেলে আসার আমন্ত্রণটা সাকিবই জানিয়েছিলেন।
কিন্তু বৃস্পতিবারও সেই সময় সাকিব টিম হোটেলে ছিলেন না। বিসিবি বিগবস যখন হোটেল সোনারগাঁওয়ে দলের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন, ঠিক সেই সময় সাকিব ব্যস্ত ‘ব্লুচি’ নামের এক ফ্যাশন হাউসের প্রোগ্রামে।
সেখানে অনেক কথার ভিড়ে সাকিব একটি মন্তব্য করেছেন।
তা হলো— তাকে নিয়ে যত কথা হয় মিডিয়ায় সবই গুজব। সাকিবের নিজের কথা, ‘আমার সম্পর্কে মিডিয়াতে যা আসে তার সবই গুজব। এবং হাস্যকর।’
সাকিবের সম্পর্কে মিডিয়ায় যত খবর আসে, তার সবই যদি সত্যি ও গুজব হয়, তা হলে শুক্রবার দুপুর ১২টায় ইংল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের আগের রাতেও তিনি যে একটা ফ্যাশন হাউসের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত সময় কাটালেন, সেটিও কি গুজব? তিনি কি তবে সশরীরে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধম্যে এমনই তার ভিডিও এবং অডিও চলে এসেছে?
তার মানে সাকিব বোঝাতে চাইলেন, তার সম্পর্কে যত কথাবার্তা মিডিয়ায় লেখা হয় সবই বানোয়াট। গুজব।
কথা শুনে মনে হচ্ছে, মিডিয়ারই যত দোষ।
এ যেন সেই ‘যত দোষ নন্দঘোষ।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও সাকিব ও তামিম ইস্যুতে মিডিয়াকে দুষেছেন।
এবার আর সাকিব আল হাসান সরাসরি দায় চাপালেন প্রচারমাধ্যমের ওপর। ব্যাপারটা একতরফা হয়ে গেল না? যারা একটি সিরিজ চলাকালীন এবং ম্যাচের আগের রাতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যা খুশি করে বেড়ান, তাদের কথা লেখাও যাবে না? সেটিকে গুজব বলে চিহ্নিত করা হবে?
এটা কি রামরাজত্ব? নাকি তুঘলকি কাণ্ড?