ইতালিতে বহুল প্রতীক্ষিত সিজনাল ও নন-সিজনাল ভিসায় ৮২ হাজার সাতশ পাঁচজন শ্রমিক নিতে গেজেট প্রকাশ হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে। চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এবার মৌসুমি ভিসায় ৪৪ হাজার শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশের নাগরিকরা মৌসুমি ভিসায় আবেদন করতে পারবেন।
অন্যদিকে অ-মৌসুমি ভিসায় অর্থাৎ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আরও ৩৮ হাজার সাতশ পাঁচজন শ্রমিক ইতালিতে আসতে পারবে। এর মধ্যে অ-মৌসুমি ভিসার বাইরে কনস্ট্রাকশন, জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, মেকানিকস, টেলিযোগাযোগসহ এসব সেক্টরে ৩০ হাজারের বেশি কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
এদিকে ইতালি সরকার গত প্রায় আট বছর বাংলাদেশকে ব্লাক লিস্টে রাখার পর গত দুই বছর ধরে আবার বাংলাদেশি শ্রমিক আসার সুযোগ পেয়েছে ইতালিতে। মূলত কৃষিকাজের ভিসার মেয়াদ থাকে ৯ মাস। নিয়মানুযায়ী ৯ মাস কাজ করে নিজ নিজ দেশে ফেরত যাবে প্রতিটি শ্রমিক। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা এ নিয়ম মানে না।
জানা গেছে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা ইতালিতে কৃষিকাজের ভিসায় এসে নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে ইতালতি থেকে যায়। আইন অনুসারে যে কোনো শ্রমিক ৯ মাসের বেশি ইতালিতে অবস্থান করলে সে অবৈধ হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা ৯ মাসের ভিসায় এসে দেশে ফেরত না যাওয়ায় আইন অমান্যসহ বিভিন্ন কারণে ইতালি সরকার বাংলাদেশের কোটা বাতিল করে রেখেছিল গত কয়েক বছর।