পাঁচ সিটি করপোরেশনে ভোটের তারিখ ঠিক করতে সোমবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সভায় আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেয়াদ ফুরোবে বলে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের আগেই করতে হচ্ছে। পাঁচ সিটিতে তিন ধাপে ভোট করার ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের ভোট আগে এবং বাকি চার সিটিতে দুই ধাপে হতে পারে।
আগামী মে মাসের শেষার্ধ থেকে জুনের মধ্যে এই পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গত ১৫ মার্চ কমিশন সভায় হয়েছিল।
এখন কোন সিটি করপোরেশনে কবে নির্বাচন হবে, সেই সিদ্ধান্তের পালা। সোমবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বসবে সেই সভা। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ রোববার বলেন, “সভায় সিটি করপোরেশনের ভোটের তফসিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। পাঁচ সিটিতে তিন ধাপে ভোট করার ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের ভোট আগে এবং বাকি চার সিটিতে দুই ধাপে হতে পারে।’’
ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একটি, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুটি এবং জুনের তৃতীয় সপ্তাহে দুটি সিটির ভোট করার প্রস্তাব রেখেছেন তারা।
অতিরিক্ত সচিব অশোক দেবনাথ বলেন, “ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ হলে আমরা পরবর্তী নির্দেশনা বাস্তবায়নে এগোব। সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলে এসেছে ইসি; ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরাও থাকছে।
স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ সিটি করপোরেশনের। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। পাঁচ সিটির মধ্যে একটির নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয় মার্চ থেকে, আবার আরেকটির নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবে নভেম্বরে।
পাঁচ সিটির মধ্যে সবার আগে গাজীপুর সিটি ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয় ১১ মার্চ, ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গাজীপুরে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৬ জুন। খুলনায় ২০১৮ সালের ১৫ মে এবং রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে সবশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই ভোট হয়েছিল।
সংসদ নির্বাচনের আগেই পাঁচ সিটি শেষ করা হবে। এ বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।