আফ্রিকার দেশগুলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নিরীহ শিকার, তাদের যন্ত্রণা লাঘবে সহায়তা প্রয়োজন। এক বৈঠকে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান ম্যাকি স্যাল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।
সোচিতে বৈঠকের পর ম্যাকি বলেন, রুশ নেতা খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। আফ্রিকা ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে ৪০ শতাংশের বেশি গম আমদানি করত।
কিন্তু সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। কিয়েভ ও তার মিত্ররা মস্কো বিরুদ্ধে বন্দর অবরুদ্ধ করার অভিযোগ এনেছে।
জেনেভায় জাতিসংঘের সংকট বিষয় সমন্বয়ক আমিন আওয়াদ বলেন, এসব বন্দর খোলা না গেলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। শস্যের ঘাটতির কারণে এক দশমিক ৪ বিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং দেশান্তরের ঘটনা বাড়বে।
অনিরাপত্তা ও কম ফলনের কারণে আফ্রিকায় যে সংকট চলছে যুদ্ধ তা আরও বাড়িয়েছে। যুদ্ধের আগের চেয়ে এখন মহাদেশটিতে বেড়েছে খাদ্যের দাম। এ পরিস্থিতি প্রচুর মানুষকে ঠেলে দিয়েছে ক্ষুধার দিকে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রধান মাইক ডানফোর্ড বলেন, আফ্রিকায় ৮০ মিলিয়নের বেশি মানুষ খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছেন। গত বছর এসময়ে এ সংখ্যা ছিল ৫০ মিলিয়ন।
আফ্রিকার দেশ চাদ ইতোমধ্যে জাতীয় খাদ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির অধিকাংশ মানুষের খাদ্য সহায়তা দরকার। জাতিসংঘ ও দেশটির সরকার সেখানের মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
ম্যাকি, যিনি সেনেগালের প্রেসিডেন্টও। তিনি পুতিনকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমরা অনেক দূরে আছি, তবুও আমরা চলমান অর্থনৈতিক সংকটের শিকার— এ বিষয়ে আপনাকে সচেতন হতে হবে।
তিনি জানান, তিনি এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর জন্যও আবেদন করেছেন।
শুক্রবার জবাবে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের শস্য আজভ ও কৃষ্ণসাগরের যেসব বন্দর রাশিয়ার দখলে রয়েছে, সেখান থেকে রপ্তানির জন্য আমরা প্রস্তুত। তবে সবচেয়ে ভালো পন্থা হবে আমাদের মিত্র বেলারুশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। তাহলে এ পথ ধরে শস্য রপ্তানি করা যাবে।