প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার দেওয়ার সব আয়োজন করা ছিল। কিন্তু সাক্ষাৎকার দিতে বসেও সেটি বাতিল করে চলে আসেন তুর্কি নেতা। শরীর ভালো নয়; এ কথা বলে সাক্ষাৎকার স্থলত্যাগ করেন এরদোগান।
এ ঘটনায় এরদোগানের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। বলা হচ্ছে— তুর্কি প্রেসিডেন্ট গুরুতর অসুস্থ।
তবে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত আকতাই এ গুঞ্জন নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো। তার সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে। এরদোগান তার দায়িত্ব পালন করে যাবেন। খবর ডেইলি সাবাহর।
এরদোগান হার্টঅ্যাটাক করেছেন বলেও কোনো কোনো মিডিয়া সংবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর এ দাবিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এরদোগান বিশ্রামে আছেন, হাসপাতালে নেওয়ার মতো অবস্থা তার হয়ে ওঠেনি।
এদিকে ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ প্রেসিডেন্ট নিউক্লিয়ার প্লান্টের একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।
আগামী ১৩ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ততম সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এতে অংশ নিচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তবে নির্বাচনি প্রচারে বেশি সময় দিতে গিয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এ প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার অসুস্থতার কারণে একটি টিভি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান শেষ না করেই চলে যান এরদোগান। এর পর বুধবার তিনটি নির্বাচনি প্রচারের ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তুর্কি এ প্রেসিডেন্ট।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কারণে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৬৯ বছর বয়সি এরদোগান।
মঙ্গলবার যে টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন, সেটি নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট আগে শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় হঠাৎ করে বিজ্ঞাপনে চলে যায় টিভি চ্যানেলটি।
এর ১৫ মিনিট পর প্রেসিডেন্ট এরদোগান আবারও টিভির পর্দায় ফিরে আসেন এবং তিনি দর্শকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, গতকাল এবং আজ অনেক কঠিন পরিশ্রম হয়েছে। এ কারণে পাকস্থলীর ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছি। আমি আপনার এবং দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
ওই সময় এরদোগানের চেহারা কিছুটা বিষন্ন ও মলিন দেখা যাচ্ছিল। তিনি দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানটি শেষ করে দেওয়া হয়।