বিএনপির চেয়ারপারসেনের উপদেষ্ঠা, সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী প্রবীন রাজনীতিবিদ এ্যাডভোটেক কবীর হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
সাবেক সিটি মেয়র ও বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, বাধ্যক্যজনিত কারণে অসুস্থ্য হয়ে গত চারদিন ধরে কবীর হোসেন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গণগাহি রেখে গেছেন।
বুলবুল বলেন, কবীর হোসেন টানা চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে রাজশাহী-২ (সদর) আসন থেকে টানা তিনবার এবং রাজশাহী-৬ আসন থেকে একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি প্রথমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ। তিনি একাধারে পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ সালে রাজশাহী-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে খালেদা সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
কবির হোসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে রাজশাহী-২ এবং ২০০১ সালে রাজশাহী-৬ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
প্রথমে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সদর আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তাকে ভূমি প্রতিমন্ত্রী করা হয় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহর কাছে পরাজিত হন।