বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতে বেশ কোণঠাসা করে রেখেছিলেন আইরিশ ব্যাটারদের। কিন্তু এক হ্যারি টেক্টরই যেন সব পরিকল্পনা উলটপালট করে দিলেন। একাই করলেন ১৪০। কার্টেল ওভারের ম্যাচে ৪৫ ওভারে আয়ারল্যান্ড দাঁড় করালো ৬ উইকেটে ৩১৯ রানের পাহাড়।
অর্থাৎ বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটি জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩২০। সেটাও আবার ৪৫ ওভারেই।
চেমসফোর্ডে টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতেই আইরিশরা পড়ে বড় চাপে। হাসান মাহমুদ আর এবাদত হোসেনকে সামলে প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ১৬ রান তুলতে পারে আয়ারল্যান্ড।
হাসান মাহমুদ করেন জোড়া শিকার। ১৬ রানেই ২ উইকেট হারায় আইরিশরা। হাসান ইনিংসের প্রথম ওভারে পল স্টারলিংকে (০) বানান উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ। প্রথমে অবশ্য আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে জিতে বাংলাদেশ। দেখা যায় বল স্টারলিংয়ের ব্যাট হালকা ছুঁয়ে গেছে মুশফিকের গ্লাভসে।
এরপর আইরিশরা খোলসে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু সপ্তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে আউটসাইডেজ হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন স্টিভেন দোহানি (১২)।
১৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। ৯৮ রানের জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর আর অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। টেক্টর ফিফটি তুলে নেন, বালবির্নিও ছিলেন হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায়।
অবশেষে প্রতিরোধগড়া এই জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দী হন বালবির্নি (৪২)।
এক ওভার পর এসে শরিফুল ফেরান ঝড় তুলতে চাওয়া লরকান টাকারকে। মারমুখী খেলতে গিয়ে মিসটাইমিং হয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন আইরিশ এই ব্যাটার (১১ বলে ১৬)।
এরপর তাইজুল ইসলামকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন কুর্তিস ক্যাম্ফার (৮)। কিন্তু টেক্টরকে আটকানো যায়নি। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার।
বিধ্বংসী এই সেঞ্চুরিয়ান অবশেষে থেমেছেন ৪২তম ওভারে গিয়ে। এবাদত হোসেন বোল্ড করেন তাকে। তবে তার আগে ১১৩ বলে ৭ চার আর ১০ ছক্কায় ১৪০ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলেন টেক্টর।
শেষদিকে নেমে ঝড় তুলেছেন জর্জ ডকরেলও। ৪৭ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
হাসান মাহমুদ আর শরিফুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।