ইমা এলিস/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক: প্রবল উৎসাহ ও আনন্দে কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে বসবাসকারী চট্টগ্রামবাসীদের উদ্যোগে পঞ্চমবারের মতো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজ্জান গত শনিবার (১০ জুন) ব্রিজপোর্টের সীসাইড পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ মেজ্জান। দুপুরে মেজ্জান উদ্বোধন করেন ব্রিজপোর্টের সিটি মেয়র যোসেফ পি গাণিম। প্রায় সাড়ে তিন হাজার চট্টগ্রামবাসীর উপস্থিতেতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মেজ্জানে নানা ধরনের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক এবং মিলাদ মাহফিলেরও ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। কানেকটিকাটের চট্টগ্রামবাসী ছাড়াও নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ জার্সির প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী উক্ত মেজ্জানে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
পঞ্চমবারের মতো এবারো ‘চলন যাই মেজ্জান খাই’ শ্লোগানে অনুষ্ঠিত উক্ত মেজ্জান সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সফল হয়েছে বলে জানান আহবায়ক ফরিদ চৌধুরী তারেক ও সদস্য সচিব মুস্তাক আহমেদ। তাদের দাবি এবারে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি চট্টগ্রামবাসী এবারের মেজ্জানে জড়ো হয়েছিল। মহামারি করোনার পর এটাই চট্টগ্রামবাসীদের সর্বোচ্চ সমাগম বা মিলন মেলা। সর্বাত্মকভাবে মেজ্জান সফল ও সার্থক হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা বলে কতিপয় ব্যক্তি ঈর্ষাম্বিত হয়ে একই দিনে একই নামে ভিন্ন শহরে মেজ্জানের আয়োজন করলেও সেখানে চট্টগ্রামের গুটিকতেক লোক উপস্থিত ছিলেন বাকি সব অন্য জেলার মানুষ। যা অনেকের কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে বলে তারা জানান। একই দিনে প্রতিযোগিতামুলক মেজ্জানের নামে নোংরামি বন্ধের জন্য দাবিও জানান আয়োজকবৃন্দ।
যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মেজ্জান সফল ও সার্থক হয়েছে তারা হলেন-আহবায়ক ফরিদ চৌধুরী তারেক ও সদস্য সচিব মুস্তাক আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টা নাজিম উদ্দিন, প্রধান সমন্বয়কারী নুরুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আবছার, মোহাম্মদ হাশেম, সেরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ উল্লাহ, জাফর শফি, কোষাধ্যক্ষ আসিফ ইকবাল, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ এম এ আজিজ, উপদেষ্টা আলী আকবর বাপ্পী, আহমেদ হোসাইন মুন্না, মোস্তাক নবী, আব্দুল কাদের, জাফর সালেহ, মোঃ ইমরান, জসিম, আনোয়ার, আলম ভুট্টু, জাসেদুল আলম জাস, আরজু, মোহাম্মদ চৌধুরী শহীদ, মিজান হক, তৌসিফ, শওকত চৌধুরী, আব্দুল জব্বার, মোহাম্মদ মুক্তার, মোহাম্মদ সেলিম, আবুল কালাম, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবুল কালাম ও মোহাম্মদ সেলিম (সিনিয়র)।