বিএনপি নেতা চাঁদের আইনজীবী শামসাদ বেগম মিতালী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাজপাড়া থানায় করা বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় গত ১১ জুন চাঁদকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাকিম।
পুলিশের ভাষ্য, চাঁদ ছাড়াও এই মামলায় আরও চার জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন। দুপুরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তাকে রাজশাহীর পুঠিয়া থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলাটি বর্তমানে জেলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। আর ওই মামলায় চাঁদ দুই দফায় আট দিনের পুলিশ রিমান্ডে ছিলেন বিএনপি নেতা চাঁদ।
অ্যাডভোকেট মিতালী আরও বলেন, গ্রেফতারের পর কয়েক দফা রিমান্ডে থাকায় চাঁদ শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে রিমান্ডে যেন না নেওয়া হয়, সেজন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। তবে শুনানি শেষে বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
সমাবেশের শেষে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কবরস্থানে’ পাঠানোর হুমকি দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ। ওই দিন তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব ইনশাআল্লাহ’।
তার এই বক্তব্যের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রাজশাহীসহ গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চাঁদকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গণপিটুনির ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা। রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকির ঘটনায় তার নামে সন্ত্রাস দমন আইনে পুঠিয়া থানায় প্রথম মামলা হয়।
এর আগেও বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুলাই রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদের নামে মানহানির মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় জামিনে ছিলেন ওই বিএনপি নেতা।