আসন্ন ঈদুল আজহায় যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে বিআরটিসির ৫০০ বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ঈদের দিন ও আগে-পরে তিন দিন করে মোট সাত দিন সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এই সাত দিন গরুবোঝাই গাড়ি ছাড়া পণ্যবাহী যান, বিশেষ করে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে।
এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরকারের সিদ্ধান্তগুলো জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের সময় গরুবোঝাই গাড়ি ছাড়া পণ্যবাহী যান, বিশেষ করে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে মোট সাত দিন।
তিনি আরও জানান, সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ১৫ দিন। ঈদের আগের সাত দিন, পরের সাত দিন এবং ঈদের দিন এ ব্যবস্থা থাকবে। গ্যাস-সংকটের কারণে এখন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকছে।
সড়ক-মহাসড়কের ওপর থেকে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফিটনেসহীন, রুট পারমিটহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রমিকরা যেন ফিটনেসহীন গাড়ি ভাড়া করতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে রেকার রাখতে হবে। সড়কের গর্ত হলে দ্রুত মেরামত করতে হবে।
ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলের বিষয়ে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের উপদ্রবটা বেশি। মোটরসাইকেলে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয়, বিষয়টা দেখতে হবে। সিগন্যালে একঝাঁক মোটরসাইকেল দেখেন, দেখবেন হেলমেট আছে। আবার একঝাঁক দেখেন হেলমেট নেই, তাহলে বুঝবেন, এরা পলিটিক্স করে।
ঈদে পোশাক কারখানায় একই সময়ে ছুটি না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমন্বয় করে ছুটি দিতে শ্রম মন্ত্রণালয় ও গার্মেন্টস মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ।