বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এবাই প্রথম রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হলো। একই সাথে এবাই প্রথম ইতিহাসে সবচেয়ে কম প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী ও কম ভোটার উপস্থিতি নিয়েই শেষ হলো ষষ্ঠ বারের রাসিক নির্বাচন। এর মধ্যে বাগড়া বাধিয়েছিল বৃষ্টি।সেই সঙ্গে ছিল ইভিএম জটিলতাও। তবে নির্বাচনের শুরু থেকে নানান রকমের আশঙ্কা করা হলেও দিনভর দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবার। উপস্থিতি কম থাকার কারণে ভোট অতটা উৎসব মুখর না হলেও ছিল পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ।বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন তারা ৪টার পরও ভোট দিতে পারছেন। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনার কাজ। তবে প্রথমবারের মতো রাসিক নির্বাচন এবার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।শেষ সময় পর্যন্ত কত শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে প্রশ্নে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এটি ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ এখনও সব কেন্দ্র থেকে সব তথ্য আসেনি। তবে রাজশাহীর ১৫৫টি কেন্দ্রের গড় তথ্যে বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। গণনা শেষ পুরো তথ্য জানানো হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, রাজশাহী সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ৬ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩১ হাজার ২২৩ জন।