নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আজ বুধবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে পানির প্রবাহ কিছুটা কমে গিয়ে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এই মৌসুমে ডালিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয়বার বিপৎসীমা অতিক্রম করল পানি। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফা-উদ-দৌলা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, নদীর পানি বাড়ার কারণে এক সপ্তাহ আগে থেকেই তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটই খুলে রাখা হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহের রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে পানির প্রবাহ কমে গিয়ে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার কারণে নদী অববাহিকার চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় ১০টি চরাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু এখন পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় ওই চরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পানি কমলেও এসব এলাকা থেকে পানি নামতে সময় লাগছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফা-উদ-দৌলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আজ সকালে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা এই মৌসুমে ডালিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয়বার বিপৎসীমা অতিক্রম করল। গত মাসের শেষ সপ্তাহে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।