১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:১৩:৪৩ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল শোক ও স্মরণ সভায় জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৮-২০২৩
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল শোক ও স্মরণ সভায় জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সমস্ত কলকাঠি নেড়েছে জিয়াউর রহমান। আরো পেছনে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করে অপশাসন শুরু করেন। জিয়াউর রহমান স্বজ্ঞানে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেন। নিজের ক্ষমতা দখলে রাখতে সেনাবাহিনীর ও নৌবাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশাল শোক ও স্মরণ সভায় জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জিয়াউর রহমান হ্যা/না এর প্রহসনের ভোট দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। সেই বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। এই জাল দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না, আওয়ামী লীগকে উৎপাটন করা যাবে না। লন্ডনে থেকে তারেক জিয়া যে স্বপ্ন দেখছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসার সে স্বপ্ন দেখছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ বাংলার মাটিতে তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেবো না

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা আন্দোলন মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু তারা যদি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করে, মানুষকে আঘাত করে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, তাহলে  আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন, সেই হাত ভেঙে দেয়া হবে, সেই হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এই কয়েকটি মাস আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে। নেত্রী আছেন সংসদে,আমরা আছি রাজপথে। নেত্রীর এতো উন্নয়ন, এটি মানুষ ভুলে যেতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে দ্রব্যের দাম সাময়িক বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতি করে লাভ নাই। দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কমে যাবে। মানুষের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পর্যাপ্ত  বিদুৎ উৎপাদন হচ্ছে, পদ্মাসেতু নির্মাণ হয়েছে, কর্নফুলী টানেল নির্মাণ হচ্ছে, অসংখ্য সড়ক, ও রেলপথ নির্মাণ হয়েছে। এগুলো উন্নয়নের সূচক। দানাদার খাদ্য শস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের ভয়ের কিছু নেই। আমরা এগিয়ে চলেছি। এগিয়ে যাব।

সভায় প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্ধকার যুগ থেকে আলোর পথে নিয়ে গেছে। সেই শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালায়। এই আগস্ট মাস শোকের মাস, আবার এই মাস শপথ নেওয়ার মাস।

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান হ্যা/না ভোট দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সেই জিয়ার পথ ধরে খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তাদের আমলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। টেবিলের উপর ব্যালট রেখে ভোট দেয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন খালেদা জিয়া।

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. কে.এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন আওয়ামী ছুকবিতা, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়,সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। সভা সঞ্চালনা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস সামাদ তালুকদার। বিশাল শোক ও স্মরণ সভায় সিরাজগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী সহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।

শেয়ার করুন