১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:৪১:৩০ অপরাহ্ন
উৎপাদনের চারগুণ বেশি দামে বাজারে আলু
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২৩
উৎপাদনের চারগুণ বেশি দামে বাজারে আলু

চলমান সরকার পতন আন্দোলনের সফল পরিণতি তফশিল ঘোষণার আগেই ঘটাতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এজন্য দলের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য নিশ্চিত এবং রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের জেলাকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে তারা বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। 


রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাইকমান্ডের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলের সিনিয়র নেতারা এ মতামত দেন। ২৮ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলমান আন্দোলন ইস্যুতে কর্মকৌশল ঠিক করতে ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং যুগ্ম মহাসচিবদের মতামত নিতেই এ বৈঠক হয়। 


এতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সবার মতামত শোনেন। বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।


বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই চলমান সরকার পতন আন্দোলনকে সফল পরিণতির রূপ দেওয়ার জন্য বেশিরভাগ নেতা মতামত দেন। নেতারা বলেন, সেক্ষেত্রে অক্টোবরের মাঝামাঝির মধ্যে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। 


তিন নেতা তাদের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলায় আদালত যেভাবে সাজা দেওয়া শুরু করেছে, এর প্রতিবাদে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দিতে হবে। চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে সচিবালয়, নির্বাচন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিতে মতামত দেন ওই তিন নেতা।


তবে দুই নেতা বলেন, চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সঠিক পথেই আছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া হরতাল কর্মসূচিতে না গিয়ে চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত রেখে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার সাংঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই হঠকারী কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে না। নেতারা শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়; আন্দোলন সফল করতে সারা দেশ নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণে মতামত দেন। বেশিরভাগ নেতা বলেন, চলমান সরকার পতন আন্দোলনকে সফল পরিণতির দিকে নিতে হলে ঢাকা মহানগরকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। সারা দেশের নেতাকর্মীদের ঢাকা এনে কর্মসূচি করে লাভ হয় না। কারণ, তারা রাস্তাঘাট ঠিকমতো চিনতে পারেন না।


বৈঠকে একজন নেতা বলেন, ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি আন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল। এখন চূড়ান্ত ধাপে যেতে হবে। এই সময়ে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য মতামত দেওয়া হয়। কারণ, এতে বিভক্তি বাড়ে। ফলে আন্দোলনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বৈঠকে এক নেতা বলেন, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, একজন নেতা বা তার অনুসারীরা আরেক নেতার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন। এ বিষয়টিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। নেতারা বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবার মতামত শুনেছেন। এ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।


শেয়ার করুন