১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন
বয়সের মারপ্যাঁচে স্কুলে যেতে অপেক্ষা বাড়ছে খুদে শিক্ষার্থীদের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১১-২০২৩
বয়সের মারপ্যাঁচে স্কুলে যেতে অপেক্ষা বাড়ছে খুদে শিক্ষার্থীদের

নাফিউর রহমানের বয়স ছয় বছর ছুঁই ছুঁই। একটি প্রিপারেটরি স্কুলে এক বছর পড়েছে সে। এবার ভালো স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে চায়। কিন্তু বয়সের কড়াকড়িতে ছেলের ভর্তি নিয়ে বিপত্তিতে পড়েছেন নাফিউরের মা জাকিয়া সুলতানা রেবেকা। কোনোভাবেই সন্তানকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করাতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে জানতে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পরামর্শ চেয়ে পোস্ট করছেন। ঘুরেছেন বেশ কয়েকটি স্কুলেও। এখনো আবেদন করতে পারেননি তিনি।


জাকিয়া সুলতানা  জানান, তার ছেলের জন্ম ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি। ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি ছয় বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে নাফিউরের ছয় বছর পূর্ণ হতে ছয়দিন বাকি থাকায় অনলাইনে ভর্তির আবেদন সাবমিট করা যাচ্ছে না।


তিনি বলেন, ‘মাত্র ছয়দিন বয়সের ঘাটতিতে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে ছেলেটাকে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। ওর চেয়ে বয়সে যারা মাত্র এক সপ্তাহ বা ১০ দিন বড়, তারা এক বছর এগিয়ে গেল। অথচ আমার ছেলেটা পিছিয়ে গেল। এটা কোনো নিয়ম হতে পারে না। সরকারের এক-দুই সপ্তাহ বয়সের ছাড় দেওয়া উচিত ছিল।’


ছেলের জন্ম ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি। ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি ছয় বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে নাফিউরের ছয় বছর পূর্ণ হতে ছয়দিন বাকি থাকায় অনলাইনে ভর্তির আবেদন সাবমিট করা যাচ্ছে না


শুধু নাফিউর নয়, অল্প কয়েকদিন বয়স কম হওয়ায় প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে এমন জটিলতায় পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। অভিভাবকরা বয়সের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের এমন কড়াকড়িতে ক্ষোভ জানিয়েছেন।


জোসনা আরা সিঁথি নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্ম ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি। জন্মসনদে ওই তারিখই আছে। মাত্র দুদিনের জন্য এখন স্কুলে ভর্তি হতে সমস্যা হচ্ছে। এক-দুদিনের জন্য এভাবে ভর্তি না নেওয়াটা কোন ধরনের যুক্তি?’


শেয়ার করুন