হামলা বন্ধ না করলে ইসরাইলের সঙ্গে বন্দিবিনিময় নিয়ে কোনো আলোচনার প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিকবিষয়ক উপপ্রধান সালেহ আল-আরুরি।
তিনি বলেন, হামাসের হাতে এখন ইসরাইলি যেসব বন্দি আছে তারা সেনা সদস্য এবং এমন বেসামরিক ব্যক্তি, যারা ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে এর আগে কাজ করেছে। যুদ্ধবিরতি ছাড়া তাদের ছাড়া হবে না। একই সঙ্গে মুক্তি দিতে হবে সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে। যুদ্ধকে তার গতিতে চলতে দেওয়া হোক। সিদ্ধান্ত ফাইনাল। এ নিয়ে কোনো আপস করব না আমরা।
এ অবস্থায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করার কথা জানিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ২০১৪ সাল থেকে ওই অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের যেসব অভিযোগ আছে তা তারা তদন্ত করবে। এমন তদন্তে অনুমোদন আছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)।
ওদিকে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর ইসরাইলি হামলায় গাজায় প্রায় ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এর বেশিরভাগই শিশু। টেলিভিশনের ছবিতে এসব শিশুর রক্তমাখা ছবি দেখে আঁতকে উঠবেন যে কেউ। এখন গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে ধ্বংস হচ্ছে স্থাপনা, বহুতল ভবন। মরছে সাধারণ মানুষ। এবার টার্গেট করা হচ্ছে শরণার্থী ক্যাম্পগুলো।
এ অবস্থায় টেকসই একটি যুদ্ধবিরতির চেষ্টা জোরালো করতে দোহা পৌঁছেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। কিন্তু কাতার থেকে মধ্যস্থতাকারী মোসাদের সদস্যদের প্রত্যাহার করেছে ইসরাইল। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৫,৪২০। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৯ হাজার মানুষ। অন্যদিকে ইসরাইলে রকেট হামলায় নিহতের সংখ্যা ১২০০।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি এবং শিন বেতের প্রধান রোনেন বার গাজায় নতুন করে স্থল অভিযান অনুমোদন করেছেন। এ বিষয়ে বিরশেবায় সাউদার্ন কমান্ডে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়।
এর পর হালেভি বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করে দেওয়ার দিকে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ। একই সঙ্গে আরও জিম্মির মুক্তি চাই আমরা।