৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে মোট ৭০১টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলে এ তথ্য জানা যায়।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয়সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় বিভিন্ন ক্যাডারের মোট ৫৫টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। এ ছাড়া যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় নন-ক্যাডারে মোট ৬৪৬টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। ফাঁকা রয়েছে নবম গ্রেডের ৫৭টি এবং ১০ম গ্রেডের ৫৮৯টি পদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের নম্বরপত্রের মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তরের ৯ম গ্রেডের সহকারী পরিচালকের ১৪টি, ১১তম গ্রেডের জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার ৬টি এবং ১২তম গ্রেডের শ্রম কর্মকর্তার ৫টি—মোট ২৫টি পদ ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে প্রত্যাহার করায় ওই পদগুলোয় মনোনয়ন করতে পারেনি পিএসসি।
এ ছাড়া অর্থ বিভাগের অধীন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের এসএএস সুপারিনটেনডেন্টের ২৯টি পদ ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে প্রত্যাহার করায় ওই পদগুলোয় মনোনয়ন করা হয়নি।
এ বছরের ২০ আগস্ট ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন। গত নভেম্বরে এসব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শেষ করে তারা। গত বছরের জুলাইয়ে পিএসসি এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছিল। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।