১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:১০:৪৫ অপরাহ্ন
হাঁড় কাঁপানো শীতে রাজশাহীর জনজীবনে
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০১-২০২৪
হাঁড় কাঁপানো শীতে রাজশাহীর জনজীবনে

চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পুরো রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চল। উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বেড়েশে ঘনকুয়াশার এতে দিনে সুর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠান্ডা কমছে না। তবে দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। এতে কঁনকঁনে শীতে কাবু হচ্ছে মানুষ ও প্রাণীকুল। গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতে জবুথুবু অবস্থায় হচ্ছে জনজীবনে।


এদিকে শীত বাড়ায় বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগ। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে শীত জনিত রোগের প্রাদূর্ভার বেশি দেয়খা দিয়েছে। এতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাথে বেসরকারী ক্লিনিকগুলোতেও বেড়েছে রোগি ভর্তির চাপ।


 


আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরআগের দিন শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন ছিল। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি।


রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, প্রতিনিয়ত সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব কাছাকাছি চলে আসায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।


জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালসহ উপজেলা সদর হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছিল ৬২ জন। আর শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৭২ জন। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বাড়তি ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।


রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, উপজেলা পর্যায়ে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে ভর্তি রোগীর চেয়ে আউটডোর রোগীর সংখ্যা বেশি। আর পরিস্থিতি খুব খারাপ, এমনটা না। এ সময়টায় রোগী কিছুটা বাড়ে। সে রকমভাবে ব্যবস্থাপনাও করা আছে।


শেয়ার করুন