১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:২১:১৭ পূর্বাহ্ন
৪৭০ কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০১-২০২৪
৪৭০ কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে

স্পট মার্কেট থেকে জরুরি ভিত্তিতে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এই পরিমাণ লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে ব্যয় হবে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে স্পট মার্কেট থেকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ এই এলএনজি আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির ৬-৭ তারিখের মধ্যে এ কার্গো দেশে এসে পৌঁছবে।

আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।



জানা গেছে, প্রস্তাবিত আমদানির এ কার্গোটি চলতি বছরের তৃতীয় কার্গো আমদানির প্রস্তাব। পেট্রোবাংলা এটি আমদানি করবে। কার্গোটিতে এলএনজির পরিমাণ ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এই কার্গো সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ৮৮ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ মোট ব্যয় হবে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা।


জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ, শিল্প ও সারকারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয় করা হচ্ছে। স্পট মার্কেট থেকে চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৩ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী) নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২২টি প্রতিষ্ঠানের সাথে ‘মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ’ (এমএসপিএ) চুক্তি সই করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য এক কার্গো এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলা কর্তৃক দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে দু’টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে এবং দু’টিই রেসপন্সিভ হয়। এর মধ্যে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ১০ দশমিক ৮৮ ডলার প্রস্তাব করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। দরপত্রে অংশ নেয়া অপর প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জি এলপি কর্তৃক প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির প্রস্তাবিত দর ছিল ১১ দশমিক ৫৯৯ ডলার।


 


জানা যায়, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির মূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বহুগুণে বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেটের এলএনজি আমদানি বন্ধ ছিল। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। গ্যাসের ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে এবং গ্যাসের ঊর্ধ্বমূল্য বিবেচনায় প্রয়োজনে বর্ধিত মূল্যে হলেও গ্যাস সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়। এ অবস্থায় স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানির বর্ধিত ব্যয় নির্দিষ্ট শ্রেণীর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জারিকৃত এসআরও অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ঘনমিটার, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ঘনমিটার এবং বাণিজ্যিক (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ৫০ পয়সা ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে।


শেয়ার করুন