খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র প্রমিজ নাগ আত্মহননের প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার প্রেমিকা সুরাইয়া ইসলাম মিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) নড়াইল জেলার মাসুমদিয়া এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিম নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মো. আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। প্রমিজ মারা যাওয়ার পর মিম খুলনা থেকে পালিয়ে নড়াইলে আত্মগোপনে ছিলেন।
শুক্রবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হরসিৎ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (২২ জুন) নগরের সোনাডাঙ্গা থানাধীন সিটি ইন হোটেলের পেছনের একটি বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন প্রমিজের ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ বাদী হয়ে মিমের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
প্রমিজ নাগ পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামের জোতিন্ময় নাগের ছেলে। আত্মহত্যার সময় তার পকেটে একটি চিঠি পায় পুলিশ। তবে তাতে কী লেখা আছে তা জানানো হয়নি।
জানা গেছে, মিম ও প্রমিজ নাগ খুলনার নর্দান ইউনির্ভাসিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী। একই বিভাগে পড়ার কারণে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের এ সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। মিম প্রায়ই প্রমিজ নাগের ভাড়াবাড়িতে এসে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করার পর ওই বাসা থেকে বের হয়ে যেত। ২০ জুন তাদের সর্ম্পকের ফাটল ধরে। ওই দিন তাদের উভয়ের মধ্যে ববাকবিতণ্ডা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই হরসিৎ বলেন, প্রমিজ নাগের আত্মহত্যার সংবাদ শুনে মিম নড়াইলে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আত্মহত্যার সংবাদ প্রচার হওয়ার পর বাড়ি থেকে মাসুমদিয়া এলাকায় নিকট এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকে সে। ওই ছাত্রের আত্মহত্যার বিষয়টি আলোচনায় আসলে র্যাব ৬ এর একটি দল পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব তাকে মাসুমদিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে।