চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে যে কোনো দলের জন্যই এই রান তাড়া করা কঠিন। তবে আবার ২১১ রানের লক্ষ্য। মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস চেন্নাই সুপার কিংসের করা ২১০ পেরিয়েছে ৩ বল হাতে রেখে। শেষ ১০ ওভারে লক্ষ্ণৌর দরকার ছিল ১২৮ রান, সেটাও যেন লক্ষ্ণৌর জন্য কোনো বাধা হয়নি।
তারা জিতেছে চেন্নাইয়ের মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়ে। ম্যাচশেষে এমন হারের পেছনে চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় শিশিরের বড় ভূমিকা দেখছেন।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান গায়কোয়াড় বলেছেন, ‘শিশির অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আমার মনে হয় অনেক বেশি শিশির ছিল, যা আমাদের স্পিনারদের ম্যাচে অবদান রাখতে দেয়নি। যদি শিশির না থাকত, আমরা মিডল ওভারে খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করে ম্যাচটিকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে পারতাম। তবে এটার খেলার অংশ। যেটা আপনার হাতে নেই তা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না। এখনো টুর্নামেন্টের অনেক পথ বাকি।’
গতকাল মোস্তাফিজুর রহমান ৩.৩ ওভারে রান খরচ করেছেন ৫১ রান। শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল লক্ষ্ণৌর। একটি নো বল করা মোস্তাফিজের চারটি ডেলিভারি থেকেই আসে ১৯ রান।
প্রথম ওভারটা অবশ্য ভালো করেছিলেন, ১ উইকেট নিতে খরচ করেছিলেন ৪ রান। তবে এরপর থেকেই প্রতি ওভারে ছিলেন খরুচে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দিয়েছেন ১৩ রান, তৃতীয় ওভারে ১৫। মোস্তাফিজের এমন দুর্দশার বড় কারণ হয়তো এই শিশিরই।
কারণ, চেন্নাইয়ের এই উইকেটে সাধারণত বল গ্রিপ করে থাকে। সে কারণেই মোস্তাফিজ এখানে সফল। কালকের ম্যাচের আগের ৩ ম্যাচে এই মাঠে উইকেট নিয়েছিলেন ৮টি। মঙ্গলবার অতিরিক্ত শিশিরেই বোধ হয় মোস্তাফিজের কাটার গ্রিপ করেনি। নিজেও হারিয়ে খুঁজেছেন লাইন-লেংথ। সঙ্গে মার্কাস স্টয়নিসের ৬৩ বলে ১২৪ রানের অসাধারণ ইনিংসটির কথাও মাথায় রাখতে হবে।
চেন্নাই অধিনায়ক গায়কোয়াড়ও স্টয়নিসকে কৃতিত্ব দিয়েছেন, হজম করা কঠিন। কিন্তু ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে। লক্ষ্ণৌ শেষের দিকে খুব ভালো খেলেছে। ১৩-১৪ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্টয়নিসের প্রশংসা করতেই হবে। সে দারুণ খেলেছে।