১৪ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জোটনেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের একদিন আগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা সেরে রাখলেন শরিক দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের রাজধানীর বাসভবনে মঙ্গলবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তারা কী বলবেন, সে বিষয়ে নিজেরা পরামর্শ করেন। এছাড়া জোট নেতাদের বক্তৃতায় ক্ষোভ উঠে আসে বলেও বৈঠকসূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে রাশেদ খান মেনন ছাড়াও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ আলী ফারুকসহ জোটের আরো কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র যুগান্তরকে জানান, অনেক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। জোট নেতার অবহেলার পাত্র হয়ে থাকতে চান না। তারা প্রাপ্য সম্মান চান। জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা এ বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে পরিষ্কার অবস্থানের কথা জানতে চান তারা। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় এ বিষয়গুলো সামনে এসেছে বলেও জানায় সূত্রটি।
অপর একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরের অনেক কিছু নিয়েই কথা বলার আছে। সেগুলো আমরা কথা বলবো। অন্যদিকে হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত মিছিল মিটিং করতে পারে, অনেক জায়গায় আমাদের মিছিল মিটিং করতে দেওয়া হয় না।
সূত্র জানায়, বৈঠকে জোট রাখতে হলে শরিকদের সম্মান দিয়েই জোট রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, জোট থাকবে কিনা সেটা জোট প্রধান দলকেই ভাবতে হবে। জোট রাখা আমাদের চেয়ে তাদের বেশি প্রয়োজন।
তারা রাখলে শরিকদের যথাযথ সম্মান দিয়ে রাখবে, না রাখলে সেটা বলে দেবে। এ সময় সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, জোট আছে, জোট থাকবে। বৈঠকে জোট প্রধান কী বলে সেটা আগে শুনতে হবে। জোটের ভেতরে ঐক্য প্রয়োজন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু যুগান্তরকে বলেন, এটা তেমন কিছু না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডেকেছেন। আমরা সেখানে যাব। তিনি কী বলেন তার কথা শুনব।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আপনারা কী বিষয়ে কথা বলবেন, তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আপাতত প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনব, কিছু বলব না। দেখি তিনি কী বলেন। পরের বিষয়গুলো পরে দেখা যাবে।