রাজশাহী-৪ আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার সায়লা পারভীন, উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যুবদল নেতাকে গুলি করাসহ বিস্ফোরক আইনে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খাপুর গ্রামের আব্দুল মতিন নামের এক ব্যক্তি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগষ্ঠ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পূর্বে বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তৎকালীন আওয়ামী লীগের এমপি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার সায়লা পারভিন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হাট বাজারে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টির করেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের শাসনামলে উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ছাড়া করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মারপিট ও গুলি করে আহত করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী আব্দুর মতিন বলেন, এমপি আবুল কালাম আজাদ ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকারের নির্দেশে আমাদের সহপাটি গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের মুনসুর রহমান নামের যুবদল নেতাকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চাঁনপাড়া এলাকায় পিটিয়ে আহত করার পর পায়ে গুলি করে চলে যায় যুবলীগের ক্যাডারা। অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।