১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:১৫:৫০ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরে কিশোর শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২৪
চাঁদপুরে কিশোর শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা

চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনি এলাকার মো. শাহিন (১৫) নামে এক কিশোর নির্মাণ শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 


শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শহরের চেয়ারম্যানঘাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিপরীতে অ্যাড. হেলাল উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।


শাহিন ব্যাংক কলোনির ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মো. স্বপন সরকারের ছেলে। সে ঠিকাদার রিয়াদের অধীনে ভবন নির্মাণের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।


স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও শাহিনের ভাগিনা আব্দুর রহমান শুভ বলেন, ‘গত ২১ আগস্ট শহরের ব্যাংক কলোনী কালার মাঠ নামক স্থানে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে জড়ায় দুই পক্ষের কিশোররা। ওই সময় শান্ত নামের এক কিশোরের সঙ্গে শাহিনের বাকবিতণ্ডা হয়। সেই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে ৪০-৫০ জন কিশোর মিলে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এতে শাহিনের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপায় তারা। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা জিহাদুল ইসলাম ফাহিম (১২) নামের ছেলেকেও কোপাতে থাকে। আমরা তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসলে শাহিনকে মৃত বলে জানায় চিকিৎসক।’


এদিকে গুরুতর আহত জিহাদুল ইসলাম ফাহিমকে (১২) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।


নিহত শাহিনের মা সাজুদা বেগম সাজু বলেন, ‘আমার ছেলে কাজ শেষে মার্কেট থেকে একটি গেঞ্জি ক্রয় করে। এরপর বাসার দিকে আসার সময় কয়েকজন মিলে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। তবে তাদেরকে চিনতে পারিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’


চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুনসুর আহমেদ বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।


চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহসিন আলম বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্ত করে জানতে পারি ফুটবল খেলায় সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে কিশোরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। বাকিটা পুরো তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। শাহিনের পরিবার এখনো মামলা করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।


শেয়ার করুন