ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও ইরান লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে রোববার (২৫ আগস্ট) পাল্টাপাল্টি হামলার যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি ঘিরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন একটি সময় হামলার এই ঘটনাটি ঘটল, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে শিগগিরই কার্যকর একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আশাও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু রোববারের ঘটনার পর যুদ্ধবিরতির সেই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হবে কিনা, সেটি নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া ওই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ সরাসরি যুদ্ধে জড়িতে পড়া দ্বারপ্রান্তে রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। যদিও গত সাতই অক্টোবরের পর দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।
সর্বশেষ রোববার ভোরে দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটি দাবি করেছে যে, তাদের ওপর রকেট হামলা চালানোর জন্য হিজবুল্লাহ প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই কারণে নিজেদের রক্ষার্থে আগাম সতর্কতা হিসেবে বিমান হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ভাষ্যমতে, বিমান হামলা চালিয়ে তারা হিজবুল্লাহর বেশ কয়েক হাজার স্থাপনা ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ৩২০টি রকেট বোমা নিক্ষেপ করে হিজবুল্লাহ।
যদিও হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থায় ইসরায়েলের হামলার সত্যতা নাকচ করা হয়েছে। উল্টো দাবি করা হয়েছে যে, রোববারের রকেট হামলায় ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও গোলান মালভূমির চারটি স্থাপনায় তারা আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।