এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও স্বল্পপাল্লার একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার দেশটি পূর্ব উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করেছে। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল আরাবিয়াহ।
এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, সম্প্রতি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি প্রকাশ্যে আনার পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছে, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে একটি সুস্পষ্ট উস্কানি হিসেবে দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই। এমন আচরণ কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়া জানানোর ৩০মিনিটের মধ্যে আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মিনোরু কিহারা জানিয়েছেন, ‘উত্তর পূর্ব অভ্যন্তরীণ উপকূলের কাছে পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এমন উসকানি সহ্য করা হবে না।’
ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় সতর্ক রয়েছে। সিউল এবং টোকিওর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ করছে।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরি বাড়ানো এবং ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করা।
দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে এসে সামরিক মহড়া করছে, নানাভাবে উসকানি দিচ্ছে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের জোট হলো ‘এশিয়ার ন্যাটো’। এই জোট বিপজ্জনক।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেন অভিযোগ করে আসছে, ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই, এই সপ্তাহে রাশিয়া সফর করছেন। মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে দেখা করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।