পাঠ্যপুস্তকে শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধের নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেও চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রদলের সদস্য শহীদ ওয়াসিম আকরামের নাম বাদ দেওয়াকে চরম বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেছেন, শহীদ ওয়াসিম আকরাম ছাত্রদলের নেতা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী হওয়ার কারণেই তার নাম পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ এবং সরকারি ইয়াসিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা নিয়ে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নাছির উদ্দীন নাছির।
তিনি বলেন, আবু সাইদ, ওয়াসিম ও মুগ্ধ এই তিনজন বীর শহীদ জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের আইকনে পরিণত হয়েছিল। তাদের আত্মত্যাগ আরও দুই হাজারেরও অধিক বীর শহীদদের অনুপ্রাণিত করেছে। তরুণ প্রজন্মকে সাহসের প্রেরণা দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রদলের নেতা হওয়ার কারণে দ্বিতীয় শহীদ হওয়া সত্ত্বেও শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামটি সরকার অবহেলা করছে। তারা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিচ্ছে, সরকারি কোনো সভা-সমাবেশেও শহীদ ওয়াসিম আকরামের নাম স্মরণ করা হয় না। ছাত্রদল পরিচয়ে শহীদ হওয়ার কারণে কোনো শহীদের প্রতি বৈষম্য করা গণ-অভ্যুত্থানের মূল চেতনার পরিপন্থী।
এর আগে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুরের কলেজ দুটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ভবিষ্যতে ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা কেমন হওয়া উচিত তা জানতে চান। শিক্ষার্থীরা অতীতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির ভীতিকর দিক তুলে ধরেন।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন, ছাত্রদল জোর করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানো, সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের রাজনীতি করবে না।
তিনি এসময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে, তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন। রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে বিএনপি এবং তারেক রহমান এর চিন্তাভাবনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাখ্যা করেন।
নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্রদলের বুদ্ধিভিত্তিক রাজনীতি চর্চার কারণে ছাত্ররাজনীতির প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভীতি কাটতে শুরু করেছে। কোনো ক্যাম্পাসে কাউকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মতো কলুষিত রাজনীতির চর্চা করতে দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগ এবং ছাত্রলীগের কলঙ্কিত রাজনীতিকে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে।