বৈদেশিক কূটনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। বিভিন্ন দেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০ দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। স্টেট ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন। এ সংক্রান্ত নথিগুলো মার্কিন গণমাধ্যমটির কাছে রয়েছে।
ওই নথিতে সোমালিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনগুলোর কার্যক্রম কমানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনগুলোর আকার পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেই ধনকুবের ইলন মাস্ককে সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মসদনে বসার পর থেকে ব্যয় কমানোর দিকে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে তাকে সহায়তা করছেন ইলন মাস্ক। এর জেরে দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সায় দেবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
নথির বরাতে সিএনএন বলছে, ১০ দূতাবাস ও ১৭ কনস্যুলেট বন্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো বেশিরভাগই ইউরোপ ও আফ্রিকায় অবস্থিত। এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের একটি করে এ তালিকায় রয়েছে।
দূতাবাসের তালিকার তথ্য জানিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, লেওস্তো, দ্য রিপাবলিক অব কঙ্গো, দ্য সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও দক্ষিণ সুদানের দূতাবাসগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া ফ্রান্সের পাঁচটি, জার্মানি ও বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনায় দুটি করে, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকা একটি করে কনস্যুলেট বন্ধ করবে তারা।
বন্ধ হওয়া দূতবাসাগুলোর কার্যক্রম পার্শ্ববর্তী দেশে থাকা দূতাবাস থেকে চালানো হবে বলে ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সিএনএনের প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দেননি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র টামি ব্রুচ। পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হোয়াইট হাউজ ও প্রেসিডেন্টের বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে এবং তারা কংগ্রেসে কি জমা দিয়েছে আপনারা সেগুলো দেখতে পারেন।’ নথির কথা উল্লেখ করে ব্রুচ বলেন, ‘আপনারা ফাঁস হওয়া নথি থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তা নিয়ে আগেভাগে কিছু বলা উচিত হবে না। এমনকি এ নিয়ে প্রতিবেদন করাও উচিত না।
গত মার্চে সিএনএন এক প্রতিবেদনে কনস্যুলেট বন্ধের কথা জানিয়েছিল। স্টেট ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে সেই প্রতিবেদনটি করা হয়েছিল।
সিএনএন বলছে, দূতাবাস ও কনস্যুলেট স্টেট ডিপার্টমেন্টের অতীব প্রয়োজনীয়। তারা ভিসার কার্যক্রম থেকে শুরু করে মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা প্রদান করে। এমনকি তথ্য সংগ্রহ করে সেটি ওয়াশিংটনে পাঠায় যা কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।