রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে কলেজ ছাত্রীর নগ্ন ছবি প্রস্তুত করে বিভিন্ন সাইবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মূলহোতা প্রতারক মুন্নাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন ঝলমলিয়া নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলার আসামী মনোয়ার হোসেন মুন্নাকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মুন্না ওই এলাকার আশরাফ উদ্দীনের ছেলে। গতকাল বুধবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৫ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম রাজশাহী সরকারী ডিগ্রী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী। গত বছরের ১১ জুলাই আনুমানিক চারটার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন যাদুঘর মোড়স্থ নাফিসা ছাত্রীনিবাসে অবস্থানকালীন আসামী মুন্না একটি জিমেইল আইডি থেকে ভিকটিমের ব্যক্তিগত জিমেইল আইডিতে একটি নগ্ন ছবি পাঠিয়ে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করতে থাকে।
পরবর্তীতে উক্ত আসামী বিভিন্ন নামে অসংখ্য জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে ভিকটিমের ব্যক্তিগত জিমেইলে ভিকটিমের একটি এডিট করা নগ্ন ছবি পাঠায়। আসামী উক্ত নগ্ন ছবিটি ব্যবহার করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচিত ব্যক্তির নিকট ছবিটি দিয়ে অপপ্রচার চালাতে থাকে। এছাড়া গত ৩১-০৮-২০২৪ তারিখ আনুমানিক সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে সে পুনরায় অপর একটি জিমেইল আইডি হতে ভিকটিম এর ব্যক্তিগত জিমেইলে মেসেজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিম রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করে। সেই ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে চিহ্নিত পূর্বক গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার মূলহোতা মুন্না কে ১৬ এপ্রিল বুধবার বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে পুঠিয়া থানাধীন ঝলমলিয়া বাজার নামক এলাকা হতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রণের হস্তান্তর করা হয়য়েছে।