২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০১:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
১৬ বছর পর দামকুড়া পশুহাট চালু
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৪-২০২৫
১৬ বছর পর দামকুড়া পশুহাট চালু

দীর্ঘ ১৬ বছর পর চালু করা হলো রাজশাহীর পবা উপজেলায় থাকা ঐতিহ্যবাহী দামকুড়া পশুহাট।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পবার দামকুড়া পশুহাট প্রাঙ্গণে বসে হাট কমিটি।

এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে গরু ও খাসি কেনা-বেচার মাধ্যমে পশুহাটের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পশুহাটের ইজারাদার শাহজাহান আলী।

তিনি দামকুড়া পশুহাটটি এক কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এক বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন।

পবার দামকুড়া পশুহাটে ক্রেতা-বিক্রেতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গরু প্রতি ৪শ টাকা এবং ছাগল প্রতি ২শ টাকা টোল মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

গরু ও ছাগলের প্রথম ক্রেতাকে উৎসাহিত করা জন্য নগদ এক হাজার টাকা ও একটি ছাতা উপহার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিক্রেতাকে কোন টোল মূল্য দিতে হয়নি বলে জানিয়েছেন পশুহাটের ইজারাদার শাহজাহান আলী।

জানতে চাইলে শাহজাহান আলী জানান, ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম দামকুড়া পশুহাটটি চালু হয়। কিন্তু স্বৈরাচার সরকারের আমলে ২০০৮ সালের পর থেকে কৌশলে দামকুড়া পশুহাটটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। আগে সপ্তাহে বুধবার ও রোববার এই দুইদিন রাজশাহী মহানগরীর সিটি হাট ও দামকুড়ায় পশুহাট বসতো। আর এই দুই হাটের বার একই দিনে হওয়ায় কৌশলে ইজারা নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল দামকুড়া পশুহাটটি। ফলে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কাগজ কলমে সবকিছু ঠিক থাকলেও কৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছিল প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব থেকে। এক্ষেত্রে হাট-বাজারের মূল্য যত বেশি হবে সরকার রাজস্ব তত বেশি পাবে। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে হাটটি তিনি ইজারা নিয়েছেন। ফলে দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবার চালু হলো পবার ঐতিহ্যবাহী দামকুড়া পশুহাট।

জেলার পবার দামকুড়া ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্ৰামের নূর আলমের ছেলে আশিক দামকুড়া পশুহাটে প্রথম বিক্রেতা হিসেবে ছয় হাজার ৪শ টাকায় একটি ছাগল বিক্রি করেন। ক্রেতা ছিলেন দামকুড়া গ্ৰামের মনসুর আলী। আজ প্রথম দিন হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন এক হাজার টাকা ও ছাতা।

পশুহাটটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন দামকুড়া হাট জমে মসজিদের পেস ইমাম আব্দুল্লাহ।  

এ সময় দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক কিরণ, সদস্য সচিব নওশাদ আলী, হাট ইজারা কমিটির সদস্য ফিরোজ কবিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরু ও ছাগল ক্রেতা-বিক্রেতারা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন