১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:১৭:৩৯ অপরাহ্ন
বিএনপির গণসমাবেশ: বাসের পর এবার বন্ধ লঞ্চ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১০-২০২২
বিএনপির গণসমাবেশ: বাসের পর এবার বন্ধ লঞ্চ

শনিবার খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই দিন আগেই বিভাগের সব রুটে বাস ধর্মঘট ডাকা হয়।

এরপর শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার লঞ্চ ধর্মঘট। বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আওয়ামী লীগের নির্দেশে বাস মালিক ও লঞ্চ মালিকরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধর্মঘট ডেকেছে বলে অভিযোগ বিএনপির।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সমাবেশকে বানচাল করতে গোটা বিভাগজুড়ে ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লঞ্চঘাট, ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ সমাবেশ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। জনদাবির সমর্থনে আন্দোলনে শহিদ ৫ সহকর্মী হত্যার বিচারের দাবিতে। এই সমাবেশ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে। যে কোনো মূল্যে এই কর্মসূচি সফল করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

জানা যায়, মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন চলাচলের প্রতিবাদে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর খুলনার বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে বাস ধর্মঘট আহবান করে। এরপর খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহবান করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

ধর্মঘটে থাকা শ্রমিকরা জানান, লঞ্চ শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদীর খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেওয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুলনার কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে মালবাহীসহ অন্যান্য লঞ্চ ও নৌযান চলাচল করছে।

শেয়ার করুন