১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:৩৮:৪২ অপরাহ্ন
গাজীপুরে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৩
গাজীপুরে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আওয়ামী লীগ সরকারের যে ওয়াদা, তা গাজীপুরে প্রতিফলিত হয়েছে। ফলে এতে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আগামীতে চারটি সিটি নির্বাচন তারপর জাতীয় নির্বাচন একইভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও এ সময় প্রত্যাশা করেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকিদাতা রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাজীপুরে নির্বাচনে মানুষ সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য। আওয়ামী লীগ জোর করে নিজের প্রার্থীকে জেতাতে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছেন এবং হয়েছে, যা সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে একটি বিষয় পরিস্কার, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে, এই সরকার অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না, করবে না সেটা গাজীপুরে প্রমান হয়েছে। শেখ হাসিনার ওয়াদা তিনি পূরন করেছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারবে কি জিতবে তার চেয়ে বড় কথা এই নির্বাচনে গণতন্ত্র জয়লাভ হয়েছে।

গাজীপুরে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে তেমনি সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে এ সময় উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, আমরা বাধা দেবো কেন। সেই পরামর্শ তো আমাদের দেয়ার দরকার নেই। নির্বাচনে বাধা দেয়ার দিন শেষ।

মার্কিন ভিসা নীতি দেখে বিএনপির রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ভিসা পলিসি দেখে বিএনপির রাতের ঘুম হারাম। দিনের আরাম হারাম। তারা ভয় পেয়ে গেছে। ফখরুল কথা বলে মুখ লুকিয়ে। মুখ শুকিয়ে গেছে কারন সেখানে যে গুলো নেগেটিভ সবই তাদের জন্য।
বিএনপি আওয়ামী লীগের সরকারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে কি না সে আশায় ছিলো দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তাকিয়ে ছিলো নিষেধাজ্ঞা আসবে কবে। শেখ হাসিনার ওপর নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার আশায় আশায় কেউ যায় লন্ডনে, কেউ যায় ওয়াশিংটনে, লবিস্ট নিয়োগ করে। ভিসা নীতি আসছে, নিষেধাজ্ঞা কই? এখানে তো নিষেধাজ্ঞার কিছু নেই।

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন আমরা করবো। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা আমরা তৈরি করবো। আমাদের গণতন্ত্র আমাদের সিস্টেমে চলবে। আমরা কারো ভয়ে ভীত নই। আমরা আমাদের লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত সংবিধান মেনে চলবো। আমরা কারো হুমকি ধমকি কারো নিষেধাজ্ঞায় কাবু হয়ে মাথা নত করার মানুষ শেখ মুজিবের বেটি নয়। একথা যেন সবার মনে থাকে।
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো বিদেশি বন্ধু একবারও আমাদের কাউকে বলেননি যে, তত্ত্বাবধায় চায়। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত দাওয়াত করেছিলো, তার সঙ্গে আলাপকালে আমি জানতে চেয়েছিলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপনাদের কোনো পরামর্শ আছে কি না? তখন পিটার হাস আমাকে যেটা বলেছেন যে, উই ডোন্ট কেয়ার অ্যাবাইট কেয়ারটেকার। আমরা চাই বাংলাদেশের একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহযোগ্য নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহেমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

শেয়ার করুন