ঠাকুরগাঁওয়ে তৃতীয় দিনের মত বৃষ্টির জন্য বুধবার (৭ জুন) ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০ দিন ধরে প্রচন্ড তাপপ্রবাহে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে জনজীবন। বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গাছের ফল, জমির ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ কারনে বৃষ্টি চেয়ে তৃতীয় দিনের মত সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়। এ উপলক্ষে এদিন সকাল ১০ টায় পৌর শহরের গোয়ালপাড়া দারুস সালাম কাওমী মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গনে এ নামাজ আদায় শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লী।
তাপপ্রবাহের ফলে এবং দীর্ঘদিনের রোদের তীব্রতায়, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, গরমে অতিষ্ঠ হওয়ায় গোয়ালপাড়া দারুস সালাম কাওমী মাদ্রাসার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইসতিসকার নামাজে বিভিন্ন এলাকার প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক মুসল্লী অংশ নেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য দোয়া পরিচালনা করেন অত্র মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাও. এমদাদুল হক।
ঠাকুরগাঁও বিএমএ’র সভাপতি ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খয়রুল কবীর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. মোদাচ্ছের হোসেন, অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি রেজাউল করিম প্রমুখ এ নামাজ ও দোয়াই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, অত্র মাদ্রাসা ও আশপাশের মাদ্রাসার শিক্ষকগণ অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তিতে খুৎবা পাঠ করে আল্লাহর কাছে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পানাহ প্রার্থনা করেন। ওই মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাও. এমদাদুল হক বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে প্রচন্ড বিপদে রয়েছি। চারিদিকে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। আল্লাহতায়ালা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নত। আর চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইসতিসকার বলা হয়। যার অর্থ হলো পানির জন্য দোয়া।
এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরো দুইবার বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
