রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের ভোটের প্রচারণায় কদর বেড়েছে নারী কর্মীদের। তারা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। নারী কর্মীরা এ প্রচারণার জন্য পারিশ্রমিক পান। এতে বাড়তি আয় হচ্ছে পরিবারের।
অনেকেই আত্মীয়তার সূত্রে ও দলীয় টানে প্রচারণায় নেমেছেন। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে, প্রচারণায় নারী কর্মীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণার কাজ করছেন এসব পরিবারের নারীরা। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও তাদের নিজ নিজ প্রার্থীর জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নারী কর্মীরা দল বেঁধে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। তারা বলেন, শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়ায় মজুরি অন্যান্য কাজের চেয়ে কিছু কম হলেও তারা ভোটের প্রচারণার কাজ বেছে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবার নৌকা প্রতিক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন।
তার প্রতিকে প্রচারণার কাজে ব্যস্ত রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকার জুলেখা বেগম বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি নিজ প্রার্থীর প্রতীক পৌঁছে দিয়ে ভোট চাইছেন। এ জন্য তাকে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে দেয়া হয়। কখনো এর থেকে বেশিও পাওয়া যায়।
জুলেখা আরো বলেন, আগে তিনি বাইরে কাজ করতেন। কিন্তু গরমে কাজ করতে বেশ কষ্ট। তাই এখন ভোটের কাজ করছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছি নৌকা প্রতিকে। এতে পরিশ্রম কম। নিজের পছন্দের প্রতিকের প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি একটা আয়ও হচ্ছে।
নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার আফরোজা খাতুন। তিনি এক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের হয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন। আফরোজা খাতুন বলেন, প্রতিদিন আমরা শতাধিক নারী কর্মী পুরুষ কর্মীদের চেয়ে নারী কর্মীদের নিয়ে প্রচারণা চালানো অনেক সহজ। নারীরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে প্রচারনা চালাতে পারে। সে জন্য এলাকার নারী ভোটারদের কাছে নারী কর্মীদের মাধ্যমে খুব সহজেই প্রার্থীরা তাদের প্রচারনা চালাতে পারছে।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তার নির্বাচনী প্রচারণায় নিজেদের নারী আত্মীয়-স্বজন প্রচারণা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের মেয়েরাও খাবার বাবদ কিছু টাকার বিনিময়ে তার নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। নারী কর্মীরা বাসাবাড়িতে ঢুকে প্রচারকাজ চালাতে পারেন। এ জন্য নির্বাচনী প্রচারে নারী কর্মীদের কদর বেড়েছে।