ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিএনপি-আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেই সঙ্গে রাখা হয়েছে সাঁজোয়া যান। হেঁটে হেঁটে কয়েকজন করে বিএনপির নেতা-কর্মী বিএনএস সেন্টারের সামনে এলেও সেখান থেকে সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাঈম নামের এক যুবককে আটক করেন উত্তরার উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম।
উত্তরার রাজউক কলেজের পাশের রাস্তায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডি এম শামিমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
ঢাকার প্রবেশপথ উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীবাহী গাড়ি ও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে পুলিশ তল্লাশি করছে। সন্দেহজনক ব্যক্তির মোবাইল ফোনও চেক করা হয়।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উত্তরার হাউজবিল্ডিংয়ের মমতাজ মহলের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। পরে আওয়ামী-লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ সেখানে যাওয়ামাত্রই বিএনপির নেতা-কর্মীরা সরে যান। পরে এলাকাটি দখলে নিয়ে নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
আজমপুর রেলগেট এলাকায় তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে দেখা যায় দক্ষিণখান থানা-পুলিশকেও। সেখানে উপস্থিত থাকা দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আফতাব উদ্দিন শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবস্থান কর্মসূচির নামে নাশকতা এড়াতে চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের ব্যাগও তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে, কোনো দাহ্য পদার্থ বা আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে কি না, তা-ও তল্লাশি করা হচ্ছে।’