টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর পর মোদীই প্রথম টানা তিন মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন। তার শপথগ্রহণ উপলক্ষে দিল্লিতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। জমকালো অনুষ্ঠানে যোগদানকারী বিশ্বনেতাদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় রাজধানীর প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।
জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের সোয়াত ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কমান্ডোদের অনুষ্ঠানস্থল ও অন্য কৌশলগত অবস্থানের চারপাশে মোতায়েন করা হবে।
তাছাড়া শপথগ্রহণ উপলক্ষে পুলিশ দিল্লিকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করেছে। আগামী কয়েক দিনের জন্য এই শহরের ওপর দিয়ে কোনো ড্রোন, প্যারা গ্লাইডার, প্লেন ও উষ্ণ বাতাসের বেলুনসহ আকাশে ওড়ে এমন যে কোনো যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে।
মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও সিশেলসসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্রপধানরা উপস্থিত থাকবেন। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তাদের হোটেল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে এবং পিছনে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত রুট দেওয়া হবে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, রোববার মধ্য দিল্লির দিকে যাওয়া বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে বা ট্রাফিক ডাইভারশন হতে পারে। এরই মধ্যে রাজধানীতে প্রবেশকারী যানবাহনে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২৪০ আসনে জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দলটির দরকার ছিল আরও ৩২টি আসন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জেডিইউয়ের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে মোদীকে। টিডিপির ১৬ জন ও জেডিইউয়ের ১২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন পেয়েছেন মোদী।