১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন
সাত দিনের মধ্যে রাবির পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৩ দাবিতে আইনি নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২৪
সাত দিনের মধ্যে রাবির পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৩ দাবিতে আইনি নোটিশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটাকে বৈষম্যমূলক, বেআইনি এবং সংবিধান পরিপন্থি আখ্যা দিয়ে কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ তিন দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 


বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, শিক্ষা উপদেষ্টাসহ মোট ৬ জনকে গত শনিবার এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজিমুদ্দীন।


দাবিগুলোর বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

নোটিশের অন্য দুটি দাবি হলো- যারা পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়ে এখনো অধ্যয়নরত, তাদের ভর্তি বাতিলে উদ্যোগ নিতে হবে এবং বিগত ৪টি শিক্ষাবর্ষে যারা পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন, ‘গ্রেস মার্ক’সহ তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. নাজিমুদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানরা কখনও পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী নয়। বরং তাদের সন্তানেরা ভালো পরিবেশ ও ভালো স্কুল-কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিজেদের সন্তানদের অনৈতিক সুবিধা দিতে নিজেদের দ্বারা প্রচলিত পোষ্য কোটা চালুর ধারণাটি ‘স্বার্থের সংঘাত’ নীতি এবং সংবিধান পরিপন্থি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, সুনাম রক্ষা ও মানোন্নয়নের স্বার্থে অবিলম্বে তা বাতিল করা উচিত। এ ধরনের পোষ্য কোটার প্রচলন বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ও দেশের সংবিধানে এমন অন্যায্য অগ্রাধিকার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি ও সংবিধান পরিপন্থি।

ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটায় ‘গ্রেস মার্ক’ দিয়ে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, পূর্বে ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও পোষ্য কোটাধারীদের ‘গ্রেস মার্ক’ দিয়ে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ দেশের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে লজ্জাজনক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক ধারণার পরিপন্থি। এটা করার অধিকার ও কর্তৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই।

তবে নোটিশটি এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ সাদ আহমেদ।

শেয়ার করুন