১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:৩৬:১৫ অপরাহ্ন
অভিযুক্ত ৩ ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে: চবি উপাচার্য
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৭-২০২২
অভিযুক্ত ৩ ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে: চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার জানিয়েছেন, ছাত্রীকে নিপীড়নের ঘটনায় চবির অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে আগামীকাল রোববারের মধ্যে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। 

শনিবার বেলা পৌনে দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪তম বার্ষিক সিনেট সভায় উপাচার্য এ ঘোষণা দেন।

সভায় উপাচার্য বলেন, ‘এটা খুব লজ্জার সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত আটক চারজনের মথ্যে তিনজনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের আগামীকালের মধ্যেই বহিষ্কার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত এ ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন৷ তিনি বিশেষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠিয়েছেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ ঘটনা চরম লজ্জাজনক।’

এর আগে শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে চার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সে সময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। 

তবে অভিযানের অন্যতম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইউসুফ বলেছেন, তাদের মধ্যে ঘটনার ‘মূল হোতা’ রয়েছেন। 

তবে সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত গ্রেফতার তিন জন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী।  গ্রেফতার চারজনের মধ্যে দুজন ছাত্রলীগের কর্মী। বাকি দুজন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সেই সূত্র ধরে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশের সহযোগিতায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

আর এ আবাসিক হলে রেজাউল হক রুবেল ও তার অনুসারীরা থাকেন।

অভিযান শেষে প্রক্টর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যে দুজনকে শনাক্ত করছি, এরমধ্যে একজন আমানত হলে থাকতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে ধরতে শাহ আমানত হলে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে  যৌন নিপীড়নের ঘটনায় শিক্ষকদের প্রতিবাদ আরও জোরালো হওয়ার উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান। ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হতাশার মোড় থেকে হলে ফেরার পথে এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় নিয়ে বিবস্ত্র করে যৌন নিপীড়ন করে পাঁচজন। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরদিন সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বাধায় তা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর এক বন্ধু।

তবে রুবেলের দাবি, তিনি ওই ছাত্রীকে অভিযোগ দিতে বাধা নয়, বরং সহযোগিতা করেছেন।

ইতোমধ্যে রুবেলকে ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী’ কাজ করায় শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শেয়ার করুন