০৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৬:৩১:৫৭ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম-গডানস্ক নৌপথে সম্ভাবনার সেতুবন্ধ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৭-২০২৫
চট্টগ্রাম-গডানস্ক নৌপথে সম্ভাবনার সেতুবন্ধ

পোল্যান্ডের প্রধান সমুদ্রবন্দর পোর্ট গডানস্কের ফাইন্যান্স অ্যান্ড সিকিউরিটি বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালান আলেকসান্ড্রোইচের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ময়নুল ইসলাম। ওয়ারশের স্থানীয় সময় ৭ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে চট্টগ্রাম ও গডানস্ক বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং রুট স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


বৈঠকের শুরুতে গডানস্ক বন্দর কর্তৃপক্ষ বাল্টিক সাগর ঘিরে তাদের কার্যক্রম, সক্ষমতা ও কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে একটি বিস্তারিত ব্রিফ উপস্থাপন করে। উভয় পক্ষই চট্টগ্রাম ও গডানস্ক বন্দরের মধ্যে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে। তারা মনে করেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় বন্দর আরও কার্যকরভাবে উন্নত করা সম্ভব।


এছাড়া বৈঠকে বন্দরভিত্তিক সরবরাহ চেইন, তথ্য বিনিময় ও লজিস্টিক সহায়তা খাতে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে দুই পক্ষ। আলোচনার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে সম্ভাব্য রূপরেখা নির্ধারণে উভয় দেশের বন্দর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজনের বিষয়েও সম্মতি গৃহীত হয়।


বাংলাদেশ দূতাবাস মনে করছে, এই বৈঠকটি শুধু দুটি বন্দরের মধ্যে নয়, বরং বাংলাদেশ ও পোল্যান্ডের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও কৌশলগত সহযোগিতা জোরদারে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। গডানস্ক বন্দর, যা বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত পোল্যান্ডের সবচেয়ে বড় এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর, তার অবস্থানগত গুরুত্ব এবং আধুনিক সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে নতুন একটি যোগাযোগের দ্বার খুলে দিতে পারে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে তা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পরিবহন খাতকে আরও গতিশীল করবে বলে আশা করা হচ্ছে।


ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীর আইজিপির দায়িত্ব পেয়েছিলেন ময়নুল। গত ৯ এপ্রিল সরকারি চাকরি থেকে তিনি স্বাভাবিক অবসরোত্তর ছুটিতে যান তিনি। তবে এরপরই তার অবসরোত্তর ছুটি স্থগিত করে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তাকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করা হয়। গত বুধবার (২ জুলাই) পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির কা‌ছে প‌রিচয়পত্র পেশ ক‌রেন রাষ্ট্রদূত ময়নুল ইসলাম।


শেয়ার করুন