কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আনআম, আয়াত : ২৯-৩০
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
وَ قَالُوۡۤا اِنۡ هِیَ اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنۡیَا وَ مَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوۡثِیۡنَ ﴿۲۹﴾
وَ لَوۡ تَرٰۤی اِذۡ وُقِفُوۡا عَلٰی رَبِّهِمۡ ؕ قَالَ اَلَیۡسَ هٰذَا بِالۡحَقِّ ؕ قَالُوۡا بَلٰی وَ رَبِّنَا ؕ قَالَ فَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ بِمَا كُنۡتُمۡ تَكۡفُرُوۡنَ ﴿۳۰﴾
সরল অনুবাদ
(২৯) আর তারা বলে, আমাদের পার্থিব জীবনই একমাত্র জীবন এবং আমাদেরকে পুনরুত্থিতও করা হবে না।
(৩০) আপনি যদি তাদেরকে দেখতে পেতেন, যখন তাদেরকে নিজ প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে এবং তিনি বলবেন, ‘এ (পুনরুত্থান) কি প্রকৃত সত্য নয়!’ তারা বলবে, ‘আমাদের প্রতিপালকের শপথ! নিশ্চয়ই এটা সত্য।’ তিনি বলবেন, ‘তবে তোমরা যে অবিশ্বাস করতে, তার জন্য তোমরা এখন শাস্তি ভোগ কর।’
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আনআমের এই ২৯ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে, যদি তারা দুনিয়াতে পুনঃ প্রেরিত হয়, তবে সেখানে পৌঁছে এ কথাই বলবে যে, আমরা এ পার্থিব জীবন ছাড়া অন্য কোনো জীবন মানি না; এ জীবনই একমাত্র জীবন।
আমাদেরকে পুনরায় জীবিত করা হবে না। (ইবনে কাসির)
মোটকথা কাফের ও পাপীরা হাশরের ময়দানে প্রাণ রক্ষার্থে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে নানা ধরণের কথাবার্তা বলবে। কখনো মিথ্যা কসম খাবে, কখনো দুনিয়ায় পুনঃপ্রেরিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করবে। কাজেই আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে যে, পার্থিব জীবন সঠিকভাবে কাজে লাগানো হলে তা অনেক বড় নেয়ামত এবং অত্যন্ত মূল্যবান বিষয়।
তাই ইসলামে আত্মহত্যা হারাম এবং মৃত্যুর জন্য দোয়া ও মৃত্যু কামনা করা নিষিদ্ধ। কারণ এতে আল্লাহ তাআলার একটি বিরাট নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সুতরাং দুনিয়ার জীবনকে আখেরাতের জন্য সঠিকভাবে কাজে লাগানো উচিত।
এর পর ৩০ আয়াতে বলা হচ্ছে , স্বচক্ষে দেখার পর তো তারা স্বীকার করবেই যে, আখেরাতের জীবন বাস্তব ও সত্য।
তবে সেখানে এই স্বীকারোক্তির কোনো লাভ হবে না এবং মহান আল্লাহ বলবেন, ‘এখন তোমরা তোমাদের কুফরীর কারণে আজাবের স্বাদ গ্রহণ কর।’