গতকাল রবিবার সকালে বিমানটি নিখোঁজ বলে প্রথমে জানানো হয়। পরে মাস্তাং উপত্যকার কাছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। বিমানে চার ভারতীয় ছিলেন।
নেপালের পোখরা থেকে বিমানে কাঠমান্ডু যাওয়া পর্যটক মহলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। টার্বো ইঞ্জিনের ছোট ছোট বিমান হিমালয়ের মাঝখান দিয়ে উড়ে যায়। রবিবার তেমনই ২২জন পর্যটক নিয়ে সকাল ৯টা ৫৫ নাগাদ পোখরা থেকে রওনা হয় তারা এয়ারের একটি বিমান। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এটিএস জানায় বিমানটির সঙ্গে আর যোগায়োগ করা যাচ্ছে না। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে চলে অনুসন্ধান। বিকেলের দিকে জানা যায় বিমানটি ক্র্যাশ করেছে।
মাস্তাং উপত্যকার কাছে একটি গ্রামের ধারে বিমানের ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন দেখা যায়। সময় নষ্ট না করে প্রশাসন সেনাবাহিনীর হাতে উদ্ধারকাজের দায়িত্ব তুলে দেয়। সেনা একাধিক হেলিকপ্টার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য একটিও হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। শেষপর্যন্ত রবিবার উদ্ধারকাজ স্থগিত করতে হয়। আজ সোমবার সকাল থেকে ফের হেলিকপ্টার অপারেশন শুরু করেছে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে তীব্র তুষ্রপাত হচ্ছে, সে কারণেই রবিবার নামা সম্ভব হয়নি।
বিমানটিতে চার ভারতীয়, দুই জার্মান এবং ১৩ জন নেপালের পর্যটক ছিলেন। এছাড়াও ছিল বিমানের কর্মী ও পাইলটরা। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৩ বছরে এই নিয়ে তৃতীয় তারা এয়ারের ফ্লাইট ভেঙে পড়ল। ওই বিমানগুলি কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে যে চার ভারতীয় ওই বিমানে ছিলেন, তারা সকলেই মুম্বইয়ের বলে জানা গেছে। তারা একই পরিবারের সদস্য।